চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মারছা পরিবহনের বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি আরোহী এক যাত্রী নিহত হয়েছেন এবং চালকসহ আরো দুই যাত্রী এ সময় গুরুতর আহত হন। বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার হতে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতির মারছা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মনসা বাদামতল হতে পটিয়ার দিকে ছেড়ে আসা সিএনজিটি তার সাইটে চললে ও বিপরীত দিক থেকে আসা মারছা পরিবহনের বাসটি তার সাইট অতিক্রম করতেই ঘটে যায় এ দুর্ঘটনা। এতে সিএনজিচালকসহ আরো ৩ আরোহী গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু আহত আরো দুজনকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অপরদিকে হাসপাতালে আনার পথেই আইয়ুব উদ্দিন মানিক (৩২) নামে এক সিএনজি আরোহী মারা মারা যান। তিনি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের লড়িহড়া এলাকার মৃত এয়াকুব নবীর ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব উদ্দিন মানিক গত ২৯ মার্চ সৌদি আরব হতে দেশে আসেন। গত ৪ এপ্রিল বিয়ে করেন।
অপরদিকে চমক হাসপাতালে পাঠানো গুরতর আহতদের মধ্যে মিতা (৩০) ও নাছির উদ্দীন (৩৫) সে শোভনদন্ডী ইউনিয়নের এলাহাবাদ এলাকার আজিজুল হকের ছেলে বলে জানা গেছে। আরেক আরোহীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন জানান, মারছা পরিবহনের বেপরোয়া যাত্রীবাহী বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিকে চাপা দিলেই এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। তিনি আরো জানান, নিহত আইয়ুব উদ্দিন মানিক ঘটনাস্থলেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সে মারা যায়।
পটিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানভির আহমদ জানান, দুপুর দুইটার দিকে গুরতর আহত অবস্থায় তিনজনকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। তাদের মধ্যে আইয়ুব উদ্দিন মানিক নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অপর দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মারছা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে সিএনজিতে থাকা চালকসহ আরো ২ যাত্রী গুরতর আহত হন। ঘটনাস্থল হতে মারছা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক-হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে লাশটির ব্যাপারে তার পরিবারের ওপর নির্ভর করে সুরতহাল হবে কি-না নাকি সুরতহাল ছাড়া অনাপত্তি জানালেই পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে দাফন-কাফনের জন্য।
Leave a Reply