“মোজাদ্দেদ-ই আলফেসানী (রহঃ)”
– মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব )
হাজার বছরের সংস্কারক তিনি
মোজাদ্দেদ-ই আলফেসানী
৫৩৬ খানি মাকতুবাতে সাক্ষ্য
অমূল্য তাঁহার বাণী।
মাকতুবাত’ অর্থ-চিঠি
জানিয়া রাখিও ভাই
মোজাদ্দেদ-ই আলফেসানী
লিখিয়া গিয়াছেন তাই।
ইসলামী প্রশ্নের জবাব
লিখেছেন মাকতুবাতে
ইসলামের সকল ভ্রষ্টতা
রুখে দিয়েছেন তাতে।
সম্রাট আকবরের দীনি-ই-ইলাহী
তিনি করিয়াছেন পতন
মুহাম্মদী (সাঃ) ঝান্ডা জিন্দা করিয়াছেন
অমূল্য তাঁহার সাধন।
আল্লা’র জিকির তাঁহার
উত্তম হাতিয়ার
আকবরের দাওয়াখানা
শুকনো ঝড়ে চুরমার।
বালি-ঝড়ে বাঁশ পড়ে
আকবরের মাথায় আঘাত
দিন কয়েক পরেই
তার জীবন হল নিপাত।
সম্রাট জাহাঙ্গীর কর্তৃক ‘কারাবাস’
তাকে করতে পারেনি রোধন
তরীক্বতে দীক্ষিত হয়ে
জাহাঙ্গীর করেছেন রাজ্য শাসন।
নক্সেবন্দীয়া তরীক্বায় মোজাদ্দেদ সাহেব
করেছিলেন বাই’য়াত গ্রহন,
খাজা বাক্বীবিল্লাহ্ তার
প্রাণপ্রিয় মুর্শিদ হন।
হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)
করিয়াছিলেন ভবিষ্যৎ বাণী,
তাঁহার খিরকা লাভ করিলেন
মোজাদ্দেদ-ই আলফেসানী।
মোজাদ্দেদীয়া তরীক্বায় তিনি
করিলেন ইসলাম প্রচার,
উম্মতে মুহাম্মদী (সাঃ) গণের
সেই তরীক্বা অবশ্যই দরকার।
ইমাম মাহদী (আঃ)’ আবির্ভূত হইবেন
হাদীসে মোরা জানি,
মোজাদ্দেদীয়া তরীক্বা গ্রহন করিবেন
আলফেসানীর ভবিষ্যৎ বাণী।
সৌজন্যেঃ মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ মোজাদ্দদপুর, জালালাবাদ,বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
Leave a Reply