আজ ২৬ আগস্ট ২০২২ বিকাল ৩টায় নগরীর বহদ্দারহাটে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ চট্টগ্রাম মহানগর নেতা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলাম জাবেদের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. নাছির উদ্দীন, মোহাম্মদ মানিক, মোঃ লোকমান, মোহাম্মদ জনি, মোহাম্মদ নয়ন উদ্দিন, মীর মোশাররফ হোসেন জুনায়েদ, মোঃ খোরশেদ, মোহাম্মদ তানবির, মোহাম্মদ নায়েম, মোঃ রাকিব, মোহাম্মদ কামরুল, মোহাম্মদ হাসান, আরিফুল ইসলাম, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইমন, নাইম, মোঃ সায়েম, রানা, তানভির, মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ চট্টগ্রাম মহানগর নেতা জাবেদুল ইসলাম জাবেদ বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী” শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি বক্তব্য দেওয়ার সময় সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কাশিমবাজার কুটির হাওয়া ভবনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের প্রশ্রয়দাতা বেগম খালেদা জিয়া সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিনিধি নিজামী, মুজাহিদ এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূণ্য করে এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে ভুলুণ্ঠিত করার লক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। গ্রেনেড হামলার সময় মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় এবং আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মানবঢাল তৈরির ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও শহীদ হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে আজো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আহত হয়েছিল বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এখনও অনেক নেতা-কর্মী সেদিনের সেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। অনেক নেতা-কর্মীকে তৎক্ষণাৎ দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করালেও তারা এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সেদিনের সেই ভয়াল দিনটি জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
পরিশেষে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
Leave a Reply