1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা মহানগর পর্যায়ে ০৫ টি ইভেন্টে সাফল্য “শ্রমিকদের দাবী” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব) নেত্রজল সাহিত্য ম্যাগাজিন পত্রিকার নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হাজী তফছির আহমদ সওদাগরের মৃত্যুবার্ষিকীতে পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও তাবারুক বিতরণ চকরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি জাফরের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ আহত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক কালুরঘাট বেইলী ব্রিজে সিএনজি টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত

“দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব সৃষ্টিতে পরিবারের ভূমিকাই মুখ্য” – লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • সময় বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩১০ পঠিত

দুর্নীতির কারণে একটি পরিবার একটি সমাজ একটি দেশ ধ্বংস হতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়না। আমরা দুর্নীতি দিবস পালন করছি সামান্য সময় আগে থেকে। তাহলে প্রশ্ন আসে মনে পূর্ববর্তী সময়ে কি দুর্নীতি হয়নি? নাকি দুর্নীতিকে মুখ বুজে সহ্য করেছে মানুষ, প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তানাহলে বিশ্ব কেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে এত সময় নিল! জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ঘোষণা করে। জাতিসংঘ সারা বিশ্বকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (আনকাক)-এর মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ আনকাকের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দূর্নীতি বিরোধী দিবস পালন করলেই তা বন্ধ হবেনা প্রয়োজন দূর্নীতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা আর এ সচেতনতার মূল কেন্দ্র হচ্ছে পরিবার। আমরা যদি পরিবারের সদস্যদের প্রতি সে মনোভাব পোষণ করি তাহলে অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে, বাবা মা সন্তানকে, বোন তাঁর ভাইকে তেমনি তাদের বিপরীতেও যদি দুর্নীতির বিরোদ্ধে মনোভাব জাগ্রত করতে পারে তাহলে অনেকাংশে সেটা কমে আসবে। আমি “দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব সৃষ্টিতে পরিবারের ভূমিকাই মুখ্য” বিষয়টি পক্ষে বিপক্ষে অবতারণ করছি।

বিষয়টির পক্ষে এমন ভাবেই দেখছি: পরিবার হচ্ছে একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং জীবনের মৌলিক শিক্ষাকেন্দ্র। একটি শিশু তার চরিত্রের গুনগুলো অর্জন করে থাকে পরিবারের কাছ থেকে।সে দেখে এবং শুনে পরিবারের পরিবেশ থেকে। পরিবারের সদস্যগন যেরুপ আচরন করেন শিশু তাই রপ্ত করে নেয়। যখন শিশু বুঝতে শেখে, বালক বয়সে পরিবারে কর্মই সে অনুসরন করে থাকে। তাই পরিবারে যদি দূর্নীতি থাকে তবে সেই শিশুদূর্নীতির শীক্ষা পায়। যখন পরিবারের সদস্যগণ ভাল কাজ করেন,দূর্নীতির বিরুদ্ধে থাকেন, তখন সেই পরিবার শিশুকেও সেরুপ শিক্ষা দেন।দূর্নীতির কুফল, দূর্নীতি করলে কি কি ক্ষতি হবে, ভাল কাজ করলে কি হবে তার শিক্ষা শিশুকে দেয়। শিশু সেগুলো বুঝে নেয় এবং তদ্রুপ চরিত্র গড়ে তোলে। ফলে সেই শিশুই হয়ে ওঠে দূর্নীতি বিরোধি। পরিবারের বাইরের ভূমিকা অবশ্যই কিছুটা থাকে কিন্তু শিশু তখন বড় হয়েইতো বাইরে বের হয়। আর বড়রা সহজে কোন শীক্ষা স্বতস্পুর্তভাবে গ্রহন করে না। বড়রা শিক্ষা গ্রহন করে নিজের অর্জিত জ্ঞান, চরিত্র ইত্যাদি দিয়ে বিচার বিশ্লেষন করে। তাই এখানেও পরিবারের থেকে অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব থাকে।
বিপক্ষেও থাকবেনা তেমন নয়: পরিবারের কাছ থেকে একটি শিশু যতই ভাল শিক্ষা বা দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা গ্রহন করুক না কেন, বাইরের জগত বিশাল। পরিবার ছেড়ে শিশু একদিন বড় হয়ে বাইরের জগতে আসে। একটি রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যখন দূর্নীতি প্রবেশ করে যায় তখন ব্যক্তি মানুষ বাইরের এই পরিবেশ থেকে জ্ঞান গ্রহন করে। একা ভাল থেকে অনেক কিছু না পাওয়া বা প্রতিরোধে অক্ষম হয়ে সেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। তাই বাইরে বৃহত্তর পরিবেশ আগে সুন্দর করতে হবে। দুর্নীতি বিরোধি প্রচার করতে হবে। দূর্নীতির ক্ষেত্র গুলো সরকারী ভাবে ও সুশাসন দ্বারা বন্ধ করতে হবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই ব্যক্তি সমাজে দুর্নীতি করতে পারবে না। ধীরে ধীরে সে দুর্নীতি বিরোধী হয়ে উঠবে। তাই দূর্নীতি প্রতিরোধে সমাজ ও রাষ্ট্র, সুশাসন ইত্যাদি শিশু বা মানুষকে দুর্নীতি বিরোধী হতে শিক্ষা দেয়।
পক্ষে বিপক্ষে যাই বলিনা কেন মূলত দুর্নীতিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার মনোভাব আমাদের নিজ থেকে পরিহার করতে হবে। তানাহলে আমাদের এই প্রতিবাদ কোন আসবেনা। দিন শেষে মুখের বুলিতে এই প্রতিবাদ থেকে যাবে, বাস্তবে আমরা দুর্নীতি দূর করতে পারবনা!

লেখকঃ
সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক চট্টগ্রামের খবর
সমাজকর্মী ও সংগঠক

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট