1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এপেক্স ক্লাব অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ, ফল উৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রহিমকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন কর্ণফুলী নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত যুবকের লাশ বন্দর পতেঙ্গা এলাকায় অসহনীয় যানজট নিরসনকল্পে মতবিনিময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর পক্ষ থেকে ৬টি রোগে আক্রান্ত ২০০ রোগীকে চেক বিতরণ আশুরায় চাহিদা বৃদ্ধিতে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ৩১৭০ লিটার অবৈধ অকটেনসহ এক পাচারকারী আটক আমিরাতে ভিসা আইন ভাঙার হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিদের প্রত্যয়ের সাংস্কৃতিক আয়োজন “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে”

পোশাকে দাম নিয়ে প্রতারণা, মেগামার্টকে লাখ টাকা জরিমানা

  • সময় বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
  • ১২৯ পঠিত

মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পোশাক বিপণি প্রতিষ্ঠান মেগামার্ট-কে দেশীয় পোশাককে বিদেশি বলে প্রতারণার দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র টেরিবাজারে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান এবং টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান।

বিশেষ অভিযানের সময় দেখা যায়, মেগামার্ট নিজস্ব কিছু পণ্যের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের নাম করে দেশীয় পণ্য চড়া দামে বিক্রি করছে। সাধারণ ক্রেতারা বিশ্বাস করে বেশি দামে পণ্য কিনলেও, বাস্তবে সেগুলো ছিল বাংলাদেশেই তৈরি।

নিরীক্ষার সময় ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিক্রয়কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা প্রথমে জানান, এগুলো ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা কাপড়। তবে, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র চাওয়া হলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা স্বীকার করেন, পণ্যগুলো আসলে দেশীয় কারিগরদের তৈরি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, “আমাদের সঙ্গে তারা যদি এই ধরনের প্রতারণা করতে চায়, তাহলে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে আরও বেশি করবে। আমরা কাপড় পরীক্ষা করে দেখেছি এবং বিক্রয়কর্মীদের বক্তব্য শুনেছি। তারা প্রথমে বলেছিল এটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি কাপড়, কিন্তু যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই স্বীকার করেছে যে এটি আসলে দেশীয় পণ্য।”

অভিযান চলাকালে মেগামার্টের কসমেটিকস বিভাগ থেকেও অনিয়ম ধরা পড়ে। দেখা যায়, অনুমোদনবিহীন কিছু বিদেশি কসমেটিকস বাজারজাত করা হচ্ছে, যেখানে আমদানিকারকের নাম ও সঠিক তথ্য উল্লেখ নেই।

এ প্রসঙ্গে ফয়েজ উল্লাহ আরও বলেন, “তাদের কাছে অনুমোদিত নয় এমন কিছু কসমেটিকস পাওয়া গেছে, যেগুলো সন্দেহজনক ও ভেজাল হতে পারে। পাশাপাশি কিছু বিদেশি পণ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, অথচ এগুলোর বৈধ কাগজপত্র নেই। এ ধরনের পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করেছি যাতে এ ধরনের অনিয়ম আর না করে।”

অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে সব পোশাকের গায়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল যুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, “ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা, অনুমোদনবিহীন পণ্য বিক্রি ও পণ্যের উৎস গোপনের মতো কার্যকলাপে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট