1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের আয়োজনে পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পটিয়ায় ১ হাজার কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেবে গাজী কে.ডি ফাউন্ডেশন বাঘাইছড়িতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন-এর পরিবেশ সুরক্ষা স্কুল টিমের অভিষেক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মহা সড়কে পটিয়া পৌরসভার ময়লার স্তূপ সরাতে সচেতন নাগরিক ফোরামের নাকধরা মানববন্ধন কর্মসূচি বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ইঞ্জিন থেকে বগি বিচ্ছিন্ন, প্রাণে রক্ষা পেল শতশত যাত্রী  লংগদু উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাজার পরিদর্শনে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু কক্সবাজার যাওয়ার পথে সড়কেই ঝরলো বাবা-মেয়ের প্রাণ বাংলাদেশের চৌষট্টি জেলার রন্ধন রেসিপি -৩ যৌথ রন্ধন রেসিপি গ্রন্থের “সেরা রন্ধন রেসিপি লেখিকা ২০২৫” হলেন যারা

বাংলাদেশে নির্বাচনে PR পদ্ধতি বিশ্লেষণ

  • সময় রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ২২৭ পঠিত

বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে প্রথম সংসদ নির্বাচনেই FPTP (একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পেলেই জয়ী) পদ্ধতি চালু হয়, পাকিস্তান আমলের অনুরূপ ব্যবস্থার ধারাবাহিকতায়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ায় সহজ, সরল এবং দ্রুত ফলাফলের জন্য এই পদ্ধতি বজায় রাখা হয়। কিন্ত বর্তমানে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করার জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’পক্ষই এই পদ্ধতি নিয়ে অতীতে কথা বলেছে, কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বহু দেশেই PR বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি পুরোপুরি বা বিশেষভাবে ব্যবহার হয়। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য দেশ হলো: নেদারল্যান্ডস,ইসরায়েল,সুইজারল্যান্ড,বেলজিয়াম,সুইডেন,নরওয়ে,ডেনমার্ক,ফিনল্যান্ড,স্পেন ও পূর্ব ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ (যেমন—পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি ইত্যাদি)।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে FPTP (First Past the Post) পদ্ধতি, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীই নির্বাচিত হন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সুশীল সমাজ ও ছোট দলগুলোর পক্ষ থেকে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে PR (Proportional Representation) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুর দাবি উঠছে। প্রশ্ন উঠছে—এই পদ্ধতি কি বাংলাদেশের জন্য বাস্তবসম্মত?
PR পদ্ধতিতে কোনো দল জাতীয়ভাবে যত শতাংশ ভোট পায়, সে অনুপাতে তাদের সংসদে আসন বরাদ্দ হয়। এতে বড় দলগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য কমে যায় এবং ছোট দলগুলোও ভোটের ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়। ভোটদাতা ব্যক্তিগত প্রার্থী নয়, বরং রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন (বেশিরভাগ PR পদ্ধতিতে)। একটি দল মোট যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে সেই শতাংশ অনুযায়ী আসন পাবে।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমাস পদ্ধতিতে বিজয়ী নির্ধারণ সর্বোচ্চ ভোট পেলেই জয়ী কিন্ত পিআর এ ভোটের শতকরা অনুপাতে আসন হয়। বর্তমান পদ্ধতিতে ছোট দলের আসন পাওয়ার সুযোগ খুব কম থাকে। কিন্ত পিআর এ তুলনামূলক বেশি। সরকার গঠনে বর্তমান পদ্ধতিতে একক দল সহজে সরকার গঠন করে কিন্ত পিআর হলে জোট সরকার বেশি দেখা যায়। যদি বাংলাদেশে PR চালু হয় তাহলে ভোটের সঠিক প্রতিফলন দেখা যায়, ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাস্তব সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে, সরকার গঠনে জটিলতা ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বড় দলগুলো পিআর এর প্রতি অনীহা নজরে পড়ার মতো। আবার এর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ দরকার। তবে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে PR পদ্ধতি চালু করা সম্ভব। ১৯৭২ সালের সংবিধান সংসদীয় পদ্ধতির কথা বললেও নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তনের সুযোগ রেখেছে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন, “ভোটের প্রকৃত প্রতিফলন ও রাজনৈতিক বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি একটি বিকল্প হতে পারে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক কাঠামোয় PR পদ্ধতি চালু হলে বেশি জনগণের মতামত প্রতিফলিত হতে পারে। একটি দল ভোটে ৩০-৩৫% পেয়ে ৮০-৯০% আসন পেয়ে গেলে সেটি গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট করে।বাংলাদেশে PR পদ্ধতি চালু করা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত নয়। তবে FPTP-এর সীমাবদ্ধতা এবং বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক বাস্তবতায় PR পদ্ধতির গুরুত্ব বাড়ছে। গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল করতে চাইলে এখনই প্রয়োজন বিষয়টি নিয়ে জাতীয় আলোচনা শুরু করা।
বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা আছে, তবে তা এখনও নীতিগত বা রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়নের স্তরে পৌঁছায়নি। এটি নিয়ে আলোচনার পরিধি আরও বাড়ানো দরকার—বিশেষ করে নির্বাচন পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট