
মোঃ আনোয়ার হোসেন
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি-
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের এফ ব্লক গ্রামের বাদশা মিয়া দোকান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আহাম্মেদের বাড়ি হয়ে নদীর ঘাট এবং ইসতিয়াক রনির বাড়ি পর্যন্ত সংযোগকারী প্রধান সড়কটি এখন চরম বেহাল অবস্থায়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি আজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, রাস্তাজুড়ে কাদা ও গর্তে ভরে যায়, ফলে গ্রামবাসী পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
এই সড়কটি স্থানীয়দের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বাদশা মিয়া দোকান থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত প্রতিদিন শত শত মানুষ এই পথে চলাচল করেন। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগী, কৃষক, ব্যবসায়ী — সকল শ্রেণি-পেশার মানুষেরই এটি একমাত্র ভরসার পথ।
কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে, শিশু-বৃদ্ধ তো দূরের কথা, তরুণ ও সক্ষম ব্যক্তিরাও কষ্টে চলাচল করছেন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে; কেউ কেউ কাদায় পড়ে যায়, আবার কেউ স্কুলে পৌঁছাতে না পেরে ফিরে আসে। অসুস্থ রোগী পরিবহন করাও এখন বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমির আহমেদ বলেন, “এই রাস্তাটি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা এই পথেই স্কুল, কলেজ ও বাজারে যাতায়াত করি। কিন্তু এখন সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটাচলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, আজ স্বাধীন দেশে এই দুরবস্থা সত্যিই বেদনাদায়ক। প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। আমরা চাই দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার করা হোক।”
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মোঃ ইমরান হোসেন জুমান বলেন, “এই ভাঙা রাস্তা শুধু একটি যাতায়াতের মাধ্যম নয়; এটি আমাদের গ্রামের অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গেও সরাসরি সম্পর্কিত। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার না হলে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
দীর্ঘদিন ধরে এই ভোগান্তি চললেও স্থানীয় প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ বা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। অথচ এই রাস্তা সংস্কার হলে পুরো এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন এবং তাদের জীবনযাত্রা হবে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
Leave a Reply