1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
৩৯৮ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেল প্রথম হজ ফ্লাইট “চির নিদ্রায় মা যাহার” – মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব ) নগরীর ১৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়া ইসমাইল ফয়েজ রোড পশ্চিমপাড়ার খালে ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমে সয়লাব, দেখার কেউ নেই! জামেয়া মহিলা কামিল মাদরাসার “সামিয়া সিদ্দিকা ” গোল্ডেন A+ পেয়েছে” শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী বাছাইয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ২য় স্থান অর্জন করেছে মাহির  প্রকাশ্যে এস.ডি.জীবন’র ওয়েব ফিল্ম “দুনিয়ার খেলা” জামেয়া মহিলা কামিল মাদরাসার “মারজুকা রিফাত ” গোল্ডেন A+ পেয়েছে” সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন এর চট্টগ্রামে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আগামী ১৫ মে প্রবীণ আ’লীগ নেতা ছালেহ আহমেদ কন্ট্রাক্টর এর ৩৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় এরাবিয়ান লিডারশীপ মাদ্রাসার শতভাগ সাফল্য

স্মরণসভায় বক্তাদের অভিমত অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী শুধু একটি নাম নয় একটি ইতিহাস-আদর্শ-প্রতিভা-সংগ্রাম

  • সময় শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৮৫ পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন, কিংবদন্তী চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী’র ইন্তেকালে স্মরণসভা ৯ অক্টোবর (২০২১ খ্রী.) শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস. রহমান হলে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য, অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী’র বন্ধু এবং স্মরণসভা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ডাঃ সামসুদ্দীন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও স্মরণসভা পরিষদের আহ্বায়ক সীতাকুন্ড উপজেলার তাহের-মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি লায়ন আবু ছালেহ্। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সফল মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মরহুম অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী’র ছোট ভাই, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ইসকান্দর আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এম. নাছিরুল হক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর আলহাজ্ব শহিদুল আলম, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির সভাপতি সাংবাদিক এস.এম. জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি রোসাংগির বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মো. দিলদার, সাবেক এপিপি এডভোকেট সৈয়দ এহতেশামুল হক, বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ম্যানেজার মো. এহসানুল হক, শিক্ষাবিদ আবুল বশর, প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিম চৌধুরী লিটন, সাপ্তাহিক ইজ্তিহাদ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এহছানুল হক চৌধুরী, নোটারি পাবলিক এডভোকেট জফর আহমদ, তরুণ সাংবাদিক এস.এম. আমজাদ হোসেন জুয়েল, শেভরণ এর মহাব্যবস্থাপক পুলক পারিয়াল প্রমুখ। স্মরণসভায় অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী’র জীবনীর উপর প্রকাশিত চাটগাঁ ডাইজেস্ট এর বিশেষ সংখ্যা প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সভাপতি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য ডাঃ সামসুদ্দীন চৌধুরীকে প্রদান করেন পত্রিকাটির সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল করিম মানিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধু। তিনি অত্যন্ত মানবিক, সৎ ও সফল চিকিৎসক ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে যে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ হতেন তাদের তিনি আন্তরিকভাবে চিকিৎসা ও সহযোগিতা করতেন। অনেক নেতাকর্মীর মাথা থেকে গুলি বের করে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবন ফিরিয়ে দিতেন। তিনি মানুষের যেই সেবা করে গেছেন আল্লাহ পাক অবশ্যই উনাকে বেহেশত দিবেন।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য ও স্মরণসভা কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমার বন্ধু অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। কঠিন চিকিৎসাকে সহজ করেছিলেন এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ডাঃ কাদেরী’র বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। লন্ডন-আমেরিকা হলে ডাঃ কাদেরী’র মতো মেধাবী চিকিৎসককে অনেক মর্যাদা দেয়া হতো। উনাকে যতটুকু মর্যাদা দেয়া দরকার জাতি হিসেবে আমরা তা পারিনি। কাদেরী’র মতো জনদরদী চিকিৎসক এখন খুবই দরকার। তার মতো সৎ, মেধাবী, উচ্চ মার্গীয় চিকিৎসক বর্তমানে বিরল। অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিভিন্ন দিক দিয়ে আমাদেরকে জাগ্রত করে গেছেন।
স্মরণসভায় বিভিন্ন বক্তা বলেন, অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী শুধু একটি নাম নয়- একটি ইতিহাস, একটি আদর্শ, একটি প্রতিভা, একটি সংগ্রাম। মানবতার মহাসমুদ্র একটি উজ্জ্বল তারাকা। উত্তাল সমুদ্রে অন্ধকার রাতে নাবিক যেমন তারাকা দেখে দিক নির্ণয় করে তেমনি সংকটের সময় পেশাজীবী ও চিকিৎসক সমাজ এল.এ. কাদেরী’র ভূমিকা দেখে দিক নির্ণয় করতে পারতো, সঠিক পথের সন্ধান পেতো। বক্তাগণ বলেন, মানুষ হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে নানা গুণাবলী ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার প্রতীক হিসেবে অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী ছিলেন অতুলনীয়। মন-মানস, শিক্ষা-দীক্ষা, মতবাদ, যোগ্যতা ও জীবন যাপনের দিক থেকে বিশ্ব নাগরিক বলতে যা বুঝায় ডাঃ এল.এ. কাদেরী ছিলেন তার প্রতীক। তিনি আধুনিকদের মধ্যেও সর্বাধুনিক ছিলেন চিন্তা ও জীবন যাপনে। তাঁর মন ছিল অবিশ্বাস্যরূপে সচেতন ও অত্যন্ত গ্রহণশীল আর এক অসাধারণ সহজাত বিচার বুদ্ধির তিনি ছিলেন অধিকারী। মৃত্যুকাল পর্যন্ত তাঁর মনের এ স্বভাব ধর্ম অব্যাহত ছিল।
ডাঃ এল.এ. কাদেরী ১৯৭১ সালে লন্ডনে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে ‘‘বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন” নামে সংগঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ডাঃ এল.এ. কাদেরী দেশপ্রেমিক ছিলেন। তাঁর চিকিৎসক বন্ধু যাঁরা বিলেত গিয়েছিলেন সকলেই ওখানে ভাল অবস্থায় থেকে গেছেন। তাঁদের চেয়ে আরো ভালো অবস্থায় থাকলেও ডাঃ এল.এ. কাদেরী দেশের টানে বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন বিলাতের সকল সুযোগ-সুবিধা বর্জন করে। মানবতার মহাসমুদ্রে অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী সত্য, সুন্দর, মঙ্গল, ন্যায়-নীতির অন্যতম উদ্বোধক। প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবেও তাঁর সহিষ্ণুতা ও উদারতার কোন তুলনা নেই। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে তিনি হেয় পতিপন্ন করেননি- বরং প্রাপ্য সম্মান দিয়েছেন আন্তরিকভাবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট