মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টাঙানো প্ল্যাকার্ডে একাধিক বানান ভুলের ঘটনায় শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। ‘বাংলাদেশের’ বদলে ‘বাংলাশের’‘কুঁড়ি’কে ‘কুঁডি ‘ফেব্রুয়ারি’কে ‘ফেব্রয়ারি’, ‘তুমি’কে ‘তুাম’ এবং ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ বাক্যটিকে ‘একুশ মানি মাথা নথ না করা’ লেখা হয়েছে, যা দেখে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
এই ভুলগুলো চোখে পড়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো একটি গৌরবময় দিনকে কেন্দ্র করে এতগুলো ভুল কীভাবে হতে পারে! কেউ কেউ বিষয়টিকে চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই প্ল্যাকার্ডগুলো টাঙানোর দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি এই ভুলের জন্য সময় স্বল্পতাকে দায়ী করে বলেন, “আমরা যে পরিমাণ সময় প্রয়োজন ছিল, তা পাইনি। ফলে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলো হয়ে গেছে। তবে আমরা দ্রুত এগুলো সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানিয়েছেন, প্রকৌশল দফতরের পক্ষ থেকেই এসব প্ল্যাকার্ড প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং তা শহীদ মিনারে স্থাপনের আগে প্রশাসনের কাউকে দেখানো হয়নি, যা করা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, “ত্রুটিযুক্ত প্ল্যাকার্ডগুলো জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, কীভাবে এত বড় ভুল হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমন ভুল ইচ্ছাকৃত কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
একুশে ফেব্রুয়ারির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এমন অবহেলা ও ভুল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, মাতৃভাষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বেশি থাকা উচিত। এ ধরনের ভুল ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে, সেদিকে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
Leave a Reply