1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এপেক্স ক্লাব অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ, ফল উৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রহিমকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন কর্ণফুলী নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত যুবকের লাশ বন্দর পতেঙ্গা এলাকায় অসহনীয় যানজট নিরসনকল্পে মতবিনিময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর পক্ষ থেকে ৬টি রোগে আক্রান্ত ২০০ রোগীকে চেক বিতরণ আশুরায় চাহিদা বৃদ্ধিতে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ৩১৭০ লিটার অবৈধ অকটেনসহ এক পাচারকারী আটক আমিরাতে ভিসা আইন ভাঙার হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিদের প্রত্যয়ের সাংস্কৃতিক আয়োজন “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে”

আয়ের সাথে সংসারে খরচ বেশি; দ্রব্যমূল্যের চাপে দিশেহারা সীমিত আয়ের মানুষ

  • সময় শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ১১৯ পঠিত

মোহাম্মদ জামশেদুল ইসলাম

গেল রমজান মাসের পর থেকে চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে চাল, ডাল, পিঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসপত্রের দাম আবার বাড়ছে। বাদ নেই সবজি, মাছ, মাংস কোনো কিছুই। দ্রব্যমূল্যের এই চাপ সামলাতে দিশেহারা সীমিত আয়ের মানুষ।শুক্রবার (১৬ মে) চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মিলেছে।দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও যে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৬০-৭০ টাকা কেজিদে, আজ তা ছুঁয়েছে ৯০-১০০ টাকার গণ্ডি। পটলের দামও আকাশছোঁয়া, বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। গরিবের সবজি খ্যাত আলুর দামও কম নয়, প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজিতে। ক’দিন আগের ১০০ টাকায় ৫ কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৫০-৬০ টাকা কেজিতে।মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশের মতো স্বল্প দামের মাছও এখন কিনতে হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে। আর মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে চিংড়িসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম।মাংসের বাজারের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি।চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায, মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে, ভালো মানের মিনিকেট চাল ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০-২০০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।এই বাজারে বাঁচাটাই দায় হয়ে গেছে,’ আক্ষেপ করে বলছিলেন আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর কাশেম আলী। তিনি বলেন, ‘আগে যা আয় করতাম, তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলতো। এখন তো অর্ধেক খাবারও কিনতে পারি না। ছেলে-মেয়ে দুটো নিয়ে খুব কষ্টে থাকি।মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী রাশেদুল ইসলামের কণ্ঠেও একই হতাশা। তিনি বলেন, ‘বেতন তো আর বাড়েনি, অথচ সব জিনিসের দাম বাড়ছে হু হু করে। আগে মাসে যে টাকা বাজার করতাম, এখন সেই টাকায় ১৫ দিনের বাজার করাও কঠিন। বাধ্য হয়ে অনেক খরচ কমাতে হচ্ছে, যা আমাদের জীবনযাত্রার মানকে নামিয়ে দিচ্ছে।বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। তবে এর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেওয়া হলেও, বাস্তবে তার তেমন কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের এই লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তের স্বপ্ন যেমন ভেঙে যাচ্ছে,তেমনি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন হয়ে উঠছে আরও কঠিন। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কোনো সমাধান না হলে, সমাজের বৃহত্তর অংশের মানুষের জীবনধারণ করাই দুরূহ হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে সরকার সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট