
মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭ চট্টগ্রামের একটি বিশেষ অভিযানে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ২,৪৩,৫১৫ টাকা এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করে পাঁচজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কিছু মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলা থেকে চট্টগ্রামগামী দুটি হাইয়েস গাড়ি নিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পরিবহন করছে। শনিবার (৮ নভেম্বর ২০২৫) সকাল আনুমানিক ৮:৩০ মিনিটে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম একটি চৌকস অভিযান চালিয়ে পটিয়া থানাধীন কাদের ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট স্থাপন করেন।
চেকপোস্টে আসা গাড়িগুলো র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া চালিয়ে পার্শ্ববর্তী নজরুল এন্ড কোম্পানি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি মাইক্রোবাস আটক করতে সক্ষম হয়।।
আটককৃতরা হলেনঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১), পিতা-মোঃ আব্দুল মতিন, সাং-পাটোয়ারি বাড়ী, থানা-লক্ষীপুর সদর জেলা-লক্ষীপুর,মোঃ মাঈন উদ্দিন (৩০), পিতা-মোঃ ফিরোজ, সাং-রসুলপুর, থানা-মুরাদনগর,জেলা-কুমিল্লা,মোঃ রাশেদুল আলম(৩৮),পিতা-আব্দুল হামিদ, সাং-হাবিবুর রহমান পাড়া,থানা-পটিয়া,জেলা-
চট্টগ্রাম।
মোঃ জসিম উদ্দিন (৪১), পিতা-ছিদ্দিক আহমদ, সাং-আল্লাই, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম,মোঃ জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯), পিতা-আব্দুস সামাদ তরফদার, সাং-দাসের বাড়ী থানা-
সরিষাবাড়ী, জেলা-জামালপুর।
প্রাথমিক তল্লাশিতে প্রথম অভিযুক্তের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ পিস ইয়াবা এবং গাড়ির সিটের নিচ থেকে পাওয়া যায় ২,৪৩,৫১৫ টাকা। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পটিয়া থানাধীন কচুয়াই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে অপর মাইক্রোবাস থেকে সুকৌশলে লুকানো ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে র্যাব-৭ উল্লেখ করে, আটককৃত আসামিদের মাদক পরিবহন ও অবৈধ অর্থসহ দুইটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামি এবং জব্দকৃত মাদক ও গাড়ি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের এক কর্মকর্তাবলেন:“চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সক্রিয় মাদক চক্রের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা নজর রাখছি। র্যাব-৭ মাদকবিরোধী অভিযানে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।।
এটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাদক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, র্যাবের উপস্থিতি যুবসমাজের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য এক প্রকার আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।।
Leave a Reply