মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের জন্য নগরীর সবচেয়ে সুন্দর সড়কে শতাধিক গাছ কাটার পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ। গাছ কাটতে বন বিভাগ অনুমতি দিলেও এখনও অনুমতি দেয়নি ভূমির মালিক রেলওয়ে। এদিকে সড়কের গাছ কাটার বিরোধিতা করছে পরিবেশকর্মী ও নগরবাসী।
চট্টগ্রামে টাইগারপাস থেকে পলোগ্রাউন্ড পর্যন্ত সবুজে ঢাকা সড়কের একটি অংশ গেছে পাহাড় ঘেঁষে ওপর দিয়ে। আরেকটি অংশ পাহাড়ের পাদদেশে। মধ্যবর্তী পাহাড়ি ঢালে শতবর্ষীসহ নানান প্রজাতির ছোট-বড় গাছ। এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের জন্য শতাধিক গাছ কাটবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ।
তবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই এলাকায় শতবর্ষী গাছ কেটে র্যাম্প নির্মাণের বিরোধিতা করছেন পরিবেশকর্মী ও সচেতন নাগরিকরা।
নগরীর সবচেয়ে সুন্দর সড়কের সৌন্দর্যহানি ও পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়, বলছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। প্রয়োজনে নকশা বা স্থান পরিবর্তন করে র্যাম্প নির্মাণের পরামর্শ তাদের।
চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার বলেন, কথা বললেই বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প। জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে যখন প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের সংগতি দেখা দেয়, তখন জনগণের সাথে প্রধানমন্ত্রীর দূরত্ব বেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে জনগণের দূরত্ব যারা বাড়াচ্ছে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের বিচার কামনা করছি।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন,শতবর্ষী গাছ কাটবো না। শতবর্ষী গাছ এখান পড়ছে না, কিছু ছোট গাছ পড়ছে। গাছগুলোকে রেখে নকশা যতোটা পরিবর্তন করা যায় সেটাই চেষ্টা করছি।
চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন চট্টগ্রামের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে ১৫ পয়েন্টে র্যাম্প নির্মাণের কাজ।
Leave a Reply