তহিদুল ইসলাম রাসেল:
পতেঙ্গা সৈকত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইজারা দেওয়ার খবর চাউড় হতেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে সিডিএ বলছে, চট্টগ্রামের এ দৃষ্টিনন্দন সৈকতটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিচ মেইনটেন্সে যে লোকবল ও অর্থ প্রয়োজন সেটা সিডিএর কাছে নেই। বিচের একটি অংশ ইজারা দিয়ে যার ‘দায় ভার’ দেওয়া হবে বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে।
‘গরীবের বিচ’ নামে খ্যাত চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। নানা বাধা বিপত্তিকে পায়ে ঠেলে শেষ পর্যন্ত এ বিচে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রায় দুমাস আগে আহ্বান করা টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ)। টেন্ডার শেষে আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর কথা ভাবছে সিডিএ। তার আগে উচ্ছেদ চালানো হবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘিরে গড়ে তোলা অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনাগুলোতে।
সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সায় মেলার পর প্রায় দুমাস আগে টেন্ডার আহ্বান করে সিডিএ। যার শেষ সময় আগামী ১৭ মার্চ। তিনমাসের মধ্যে কাজ শুরুর পর তা ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন আঙ্গিকে পর্যটন অঞ্চল সাজানোর পরিকল্পনা করছে সিডিএ।
সিডিএ’র এ প্রকৌশলী জানান, পর্যটন জোন-১ নামের প্রথম ফেজে কাজ চলবে পতেঙ্গা অংশ থেকে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে। যার মধ্যে প্রায় কিলোমিটার অংশে থাকবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। তবে বাকি ৫ কিলোমিটার জুড়েই বিচের আলোকসজ্জাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা তাদের হবে।
কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘ছয় কিলোমিটারের প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকবে। সেগুলো সংরক্ষিত। বাকিটুকু সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকবে। তবে পুরো বিচের ব্যবস্থাপনা তাদের করতে হবে। এখানে সিডিএ এক টাকাও খরচ করবে না।’
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘিরে দোকানপাট ও স্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে অবৈধ দোকানপাটের প্রশ্নই আসে না। আর এখন যে গুলো আছে, সেখানে শিগগিরিই উচ্ছেদ চালাবো আমরা। এর আগেও সেখানে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ চালানো হয়েছে।
Leave a Reply