মনিরুল ইসলাম রিয়াদ, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা, মহানগরীর চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের কিছু অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন গঠিত। এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর পরই দলের তৃণমূলসহ নানা ফোরামে নৌকা প্রতীক কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা।
নির্বাচন কমিশনের তপশিল ঘোষণা না হলেও চলছে নানা গুঞ্জন। আওয়ামী লীগের আগামীর নানা পরিকল্পনা, নতুন নেতৃত্বসহ বিভিন্ন ভিশন ঘিরে এবার আলোচনায় নতুন করে স্থান পেয়েছে প্রবীণের পাশাপাশি তরুণ নেতাদের নামও।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ আসনটি শূন্য হওয়ার পর থেকেই নৌকার কান্ডারি কে হচ্ছেন, কারা আলোচনায় আছেন, কেমন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন—এমন আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। আলোচনায় নানা যোগ্যতা, ত্যাগ, নির্যাতিত-অবহেলিত নেতা হিসেবে প্রবীণ থেকে শুরু করে তরুণ নেতাদের নামও উঠে আসছে। আলোচনায় আছেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার বড় ছেলে মুজিবুর রহমান, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, বিজিএমইএ নেতা এস এম আবু তৈয়ব, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের সুজনসহ আরও অনেকে। আলোচনায় আছেন সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খানও।
জানা যায়, ওই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় বা জোটগতভাবেও হতে পারে নৌকার প্রার্থী। জাসদ নেতা বাদলের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হন সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তার মৃত্যুর পর আবারও আসনটি শূন্য হয়। জাসদ নেতার মৃত্যুর পর গুঞ্জন ছিল বাদলের স্ত্রী জোটের মনোনয়ন পাবেন। তবে নানা দিক বিবেচনায় দলের মনোনয়ন পান মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। সেই গুঞ্জনের ঢেউ এবার জাসদ নেতা বাদলের স্ত্রী সেলিনা খানের দিকেও আসছে। আগামীতে দলের নানা ভিশন ও নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তরুণদের এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে নতুন ও তরুণ নেতৃত্ব তৈরি করবে দল—এমনটা মনে করেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই থাকব। তাকে জিতিয়ে আনতে অতীতের মতো লড়ে যাব।’
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘সংসদ সদস্য পদে যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই মনোনয়ন দেবে দল। আশা করছি, দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে ছিলেন, এমন ত্যাগী ও যোগ্য নেতা মনোনয়ন পাবেন।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, ‘আসনটি শূন্য হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এখানে উপনির্বাচন হবে। এতে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য কাজ করে যাব।’
এ আসনে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোটার আছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ নারী।
Leave a Reply