ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
” বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু ফাউন্ডেশন ” এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস এর এক আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয় । ফাউন্ডেশন এর পরিচালক কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান এর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম জেলা’র সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা র প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি ও নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম এর সদস্য-সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদ এর মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস ,সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর বোর্ড সদস্য এম. আর. আজিম , চকবাজার থানা আওয়ামীলীগ এর যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক লায়ন সাইফুল ইসলাম রাসেল । বক্তারা স্বপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু-কে হত্যার অন্যতম কুশিলব হিসেবে জিয়াউর রহমান কে দায়ী করে বলেন ২৩ই মার্চ ১৯৭১ জিয়া চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা নিরস্ত্র বাঙালী নিধনে “সোয়াত” জাহাজ থেকে অস্ত্র থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়ে ফিরে যান । ২৬ই মার্চ সূযোগসন্ধানী জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন রফিক এর স্হলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করতে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজের নামে তা পাঠ করে , পরদিন একদল মুক্তিযোদ্ধর অস্ত্রের মুখে জীবন রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে । এরপর স্বাধীনতা বিরোধী বর্ণচোরা জিয়া গা বাঁচাতে নাম-কা-ওয়াস্তে জেড ফোর্স এর কমান্ডার হয়েছিলেন , তার সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নাই । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাকে আগরতলা শরনার্থী শিবিরে প্রাতরাশ করতে দেখা গিয়েছিল , শুকনো রুটি আর বাঁধাকপি ভাজি দেয়ায় , তিনি সেইদিন নাশতার প্লেট ছুড়ে মেরেছিলেন । তিনি ঊর্দূ ও ইংরেজী – তে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন । জিয়া যদি আসলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতেন তাহলে কখনো মার্শাল ‘ল দিয়ে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা সাজিয়ে একজন পাকিস্তানের পক্ষের বাঙালী ব্রিগেডিয়ার কে বিচারক বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা খেতাব-প্রাপ্ত শত-সহস্র সেনা , নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার ও জোয়ান-দের ফায়ারিং স্কোয়াডে দাড় করিয়ে ও ফাশি’র কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করতে পারতেন না । মেজর জিয়া ছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ISI এর একজন গুপ্তচর , জিয়া-কে উদ্দেশ্য করে লিখা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানি এক সামরিক অফিসারের একটি চিঠি তার-ই প্রমাণ দেয় , যেখানে সেই পাকিস্তানি অফিসার মুক্তিযুদ্ধের অতি গোপনীয় সমর-কৌশল সম্পর্কে তাকে অবগত করার জন্য জিয়াকে ধন্যবাদ জানায় । জিয়াকে লিখা ঐ চিঠিটির ছবি সহ একটি প্রতিবেদন বছর পাঁচেক আগে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল । এ কথাগুলো আজ প্রমাণিত ও দিনের আলোর মতো সত্য । বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ এ অবস্হিত তথাকথিত জিয়া যাদুঘর এর নাম পরিবর্তন করে সেখানে অনতিবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবী জানান । বক্তারা ৭৫ এর মীরজাফর মোশতাক ও জিয়া’কে মরণোত্তর মৃত্যুদন্ড প্রদান করার জোর দাবী জানান ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে ষোলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সঙ্গঠক আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক , চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য কাজল প্রিয় বড়ুয়া , চকবাজার ওয়ার্ড যুবলীগ এর সঙ্গঠক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন , চৈতগ্রাম এর সহ-সভাপতি ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন জাহেদ ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চকবাজার থানা আওয়ামীলীগ এর সিনিয়র সদস্য আলী নেওয়াজ খান পারভেজ , জ নগর ইউনিট আওয়ামীলীগ সদস্য কাজী ইকবাল , যুব সঙ্গঠক ও ব্রিগেড’৭১ এর সদস্য-সচিব জিয়ানুল হোসেন জেকক , ফাউন্ডেশন এর পরিচালক কাজী ইয়াসির রায়হান , যুবনেতা গিয়াস উদ্দিন সিদ্দিকী , মোঃ নূর উদ্দীন , মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর এর সদস্য যথাক্রমে এস.এম . ইশতিয়াক , জয়নুদ্দীন আহম্মেদ , যুব সঙ্গঠক আরিফ উদ্দিন , যুব সঙ্গঠক মাসুদুর রহমান , রাশেদ কামাল , মুনতাসির হিশাম ,তানভীর সিদ্দিকী অনিক , মাহিদুল আলম সায়মন , ইলিয়াস নিশান , জয়ন্ত চৌধুরী ,মোমেন সর্দার , সালেহ মিয়া , জসিম উদ্দিন প্রমুখ ।
Leave a Reply