পলাশ সেন, মহানগর প্রতিনিধিঃ
চলতি মাসেই বাংলাদেশের সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ২৪ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে এই শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে। এবার দুর্গাপূজাকে ঘিরে বাংলাদেশে বড় ধরনের নাশকতা এবং সহিংস তৎপরতার পরিকল্পনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। কারণ আগামী নির্বাচনের আগে যদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন করা যায়, নির্যাতন করা যায় তাহলে অনেকগুলো লাভ একসাথে ঘরে তুলতে পারবে স্বার্থান্বেষী মহল। আর এই পরিকল্পনা থেকেই এবার টার্গেট করা হয়েছে দুর্গাপূজাকে।
গত কয়েক বছরই দুর্গাপূজাকে ঘিরে বিভিন্ন নাশকতা এবং সহিংসতার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে গুজব ছড়িয়ে পূজা মণ্ডপ ভাঙচুর এবং সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। যদিও সরকার দৃঢ়তার সাথে এই সমস্ত পরিস্থিতিগুলো মোকাবিলা করছে। কিন্তু এবার নির্বাচনের আগে এ নিয়ে বড় ধরনের অপতৎপরতা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন এবং দুর্গাপূজার সময় যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে তারা এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে বর্তমান সরকার টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতা আছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ এর পরপরই ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই নীতি অনুসরণ করে চলছে এবং এই সময় অনেকগুলো ধর্মীয় উৎসব হয়েছে, কোন কোন ধর্মীয় উৎসব পাশাপাশি সময় হয়েছে অর্থাৎ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের উৎসব এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের উৎসব একই সময়ে একই সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সরকার বিচক্ষণতার সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করেছে। বর্তমান সরকারের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কয়টি বিষয়ে সুনাম রয়েছে তার একটি হলো এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি সুরক্ষা করা এবং বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদকে কঠোর ভাবে দমন করা। আর এ কারণেই ভারত মনে করে যে বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকে তাহলে এই রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক শক্তির দখলে চলে যাবে এবং উগ্র জঙ্গিবাদী এবং মৌলবাদী গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করবে। তারা বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তান বানাবে। কিন্তু সরকার মনে করছে যে এবার আওয়ামী লীগের যে অর্জন সেই অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কোনো কোনো মহল চেষ্টা করতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির প্রত্যক্ষ ইন্ধনে জামায়াত এধরনের পরিকল্পনা নিতে পারে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন।
জামায়াত গত কিছুদিন ধরে সক্রিয় হয়েছে। এই সময় তারা কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করছে না। কেউ কেউ মনে করেন যে এই দুর্গাপূজায় বিভিন্ন ভাবে তারা তৎপরতা চালাতে পারে।জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতার পরিচালিত যে জঙ্গি সংগঠন গুলো সেই জঙ্গি সংগঠন গুলো তৎপর হচ্ছে। তারাও এই পূজাতে কোনো অঘটন ঘটিয়ে সরকারকে বদনাম করতে পারে। বিশেষ করে এখন যেহেতু যুদ্ধ চলছে এই সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া এবং সাম্প্রদায়িক সৃষ্টি করা খুব সহজ হতে পারে। আর এ কারণেই কিছু কিছু ব্যক্তি এবার টার্গেট করেছে দুর্গাপূজাকে।
Leave a Reply