তহিদুল ইসলাম রাসেল:
রাঙামাটিতে পরকীয়া প্রেমিকাকে আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে প্রেমিক মাহিবুর কামালকে আটক করেছে র্যাব-৭।
শনিবার (১৯ মার্চ) বিকালে নেত্রকোনা জেলা মদন থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
আটক মাহিবুর কামাল (২৩) কাপ্তাই থানার মুরগীর টিলা এলাকার মো. মনির উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, মো. ইমাম উদ্দিনের সঙ্গে নিহত হাছিনা বেগম ওরফে সুমীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১০ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সংসারে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছিল। এর মধ্যে আটক মাহিবুরের সঙ্গে নিহত সুমীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর মাহিবুরের সঙ্গে অন্য এক মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়। এ সংবাদ শুনে গত ১১ মার্চ সুমী মাহিবুরকে ফোনে কাপ্তাই থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএফআইডিসি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসতে বলে। ওইদিন রাতে মাহিবুর সেখানে আসেন এবং তারা স্কুলের পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটে দেখা করেন। এ সময় সুমী মাহিবুরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। মাহিবুর তার কথায় রাজি না হলে সম্পর্কের কথা এলাকায় জানিয়ে দিবে বলে জানায়। এতে মাহিবুর ক্ষিপ্ত হয়ে ইট দিয়ে সুমীর মাথায় আঘাত করে। এ সময় মাহিবুরের হাতে কামড় দেয় সুমী। কামড়ে মাহিবুর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করতে ভিকটিমের শরীর আগুনে পুড়িয়ে টয়লেটে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সুমীর মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কাপ্তাই থানায় মামলা করেন। এরপর ছায়া তদন্তের নামে র্যাব-৭।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো.নূরুল আবছার বলেন, রাঙামাটিতে পরকীয়ার প্রেমের জেরে প্রেমিকাকে আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক মাহিবুর কামালকে নেত্রকোনা থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহিবুর হত্যার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply