ইসমাইল ইমনঃ
আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত মানবিক সংগঠন সিলেট-চট্রগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে মানবতার সেবায় বন্যার্ত সিলেটবাসীর পাশে চট্টগ্রামবাসী আর্থিক সহয়োগিতায় শনিবার ২১ মে সিলেট মহানগরীর যতরপুর সহ আশপাশ এলাকার ১০০(একশত) বন্যার্ত গরীব, অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিসিক সংরক্ষিত আসনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর দিবারাণী দেবী, সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক উৎফল বড়ুয়া, আব্দুল আলিম আলম, ইঞ্জিনিয়ার রানা বড়ুয়া, মোঃ আবু জাফর, সদস্য বিশ্বজিত সরকার, মোহাম্মদ হাবিব, রবিউল হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম থেকে যাঁরা এগিয়ে এসে সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়ালেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান খাদ্য জগৎতের নতুন সংযোগ পিউরিয়া ফুড লিঃ পরিবার, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান মিষ্টি জগৎতের সেরা ফুলকলি পরিবার, হেলাল আহমেদ খোকন, বি কে এন্টারপ্রাইজ, মহাজনপট্টি, সিলেট, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান মিষ্টি জগৎতে সিলেটে সর্বপ্রথম আগমনকারী মধুবন পরিবার, আব্দুল আলিম (আলম) মিনার এন্ড কোম্পানী, লালদিঘীরপাড়, সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম ফেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের সন্মানিত উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া এবং সম্মানিত উপদেষ্টা ও কমিউনিটি টিভি’র পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাবু’র সার্বিক সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়।
গতকাল সোমবার থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে শুরু করে। সুরমা নদীর পানি বাড়তে থাকায় এর তীরবর্তী সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ডুবে গিয়ে লাখো মানুষ দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। মে মাসের বন্যায় দেড় যুগ পর ঘরে পানি ঢুকতে দেখল সিলেট নগরবাসী, আর গ্রামে স্রোতের তোড়ে ভেসে গেল আসবাব, কোথাও কোথাও ঘরও। তবে পানি কমতে শুরু করায় লাখো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে ওঠা হঠাৎ বন্যার আর ‘অবনতি’ না হওয়ার আভাস দিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উজানের ভারি বর্ষণের মধ্যে আকস্মিক বন্যায় দুদিন থেকে সিলেটবাসী একপ্রকার ‘হাবুডুবু’ খাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো বন্যা কবলিত হয়েছে বেশি।আকস্মিক বন্যায় সিলেটের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সিলেটের মানুষ খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে এই কঠিন সময় পার করছি।
সিলেটে বন্যায় আমাদের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে একবার চিন্তা করুন! বাড়িতে নেই খাবার! নেই খাবার পানি! পারছেন না ঘুমাতে! না পারছেন বাথরুমে যেতে! তখন আপনি কেমন অসহায়ত্ব অনুভব করবেন?
এমনই অসহায় হয়ে পড়ে আছেন সিলেট বিভাগের লাখো বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ! মানুষ কিভাবে কষ্ট করছে, জীবন বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করছে! আমাদের একার পক্ষে কখনোই সম্ভব হবেনা সবাইকে সাহায্য করা কিন্তু সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসেন তাহলে এসব অসহায় মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
Leave a Reply