চট্টগ্রাম থেকে ইসমাইল ইমনঃ
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পশ্চিম বাকলিয়ার চকবাজার ১৭ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ খালপাড় সড়ক এলাকায় অবস্থিত বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো চট্টগ্রামের স্বনামধন্য অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে থাকে।
বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে প্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষার পাঠ্যক্রম যতাযত ভাবে পরিচালনা করতে পারছেনা। এই বিষয়ে ২ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে।তাঁরা জানান শুষ্ক মৌসুমের হালকা, মাঝারি বৃষ্টিপাত ও ভরা বর্ষায় প্রবল ভারীবর্ষণে বিদ্যালয়ের যাতায়াতের মুল সড়ক গুলো পানিতে তলিয়ে যায়, ফলে শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষক দের বিদ্যালয়ে প্রবেশ কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে।ঐ সময় বাধ্য হয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়।এই কারণে নগরীর অন্যান্য বিদ্যালয়ের সাথে সমানতালে সিলেবাস পাঠ্য কার্যক্রম ধরে রাখা যায় না। সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে পড়তে হয় ২ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের।
উক্ত ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় মৌসুমের হালকা, মাঝারি ও ভারী বর্ষণে বালিকা বিদ্যালয়ের সড়ক পানিতে তলীয়ে যায়, বিদ্যালয়ের আশেপাশে স্থানীয় বখাটেদের উৎপাত, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ষ্টাপ কোয়ার্টারের ভিতরে সকাল, সন্ধ্যা কিশোর গ্যাং, মাদকাসক্তদের আড্ডার কারনে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের।এই বিদ্যালয়ের একটি বিশাল খেলার মাঠ থাকলেও সংস্কারের অভাবে অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে সামান্য বৃষ্টিতে বা ভরা বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে এই মাঠটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।সেই সাথে তলীয়ে যায় বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা। এই ২ বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজারেরও অধিক।
ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের প্রবেশ সড়কে স্থানীয়দের বিভিন্ন ভবনের নির্মাণ সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার কারনে যাতায়াতের সমস্যা হয়। সেই সাথে মৌসুমের হালকা, মাঝারি বৃষ্টিপাতের ফলে ২ বিদ্যালয়ের পাশে দিয়ে ভয়ে যাওয়া চাক্তাই ডাইভারশন খালের সংস্কারবিহীন খালের বর্জ্য ও উপচে পড়া ময়লা,দুষিত পানির কারনে এলাকার অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের যাওয়ার দুষ্কর হয়ে পরে।
এইসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেলেও,অদ্যাবধি কোন সুফল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান
যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন বিদ্যালয় গুলোর সমসাময়িক সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিলে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার গৌরব, ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন থাকবে।
Leave a Reply