মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসসহ অর্দ্ধ ডজন স্টেটে রেজ্যুলেশন, প্রক্লেমেশন, সাইটেশনের জন্যে কাজ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কয়েকজন সংগঠককে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের ‘থ্যাঙ্কস লেটার’ হস্তান্তর করলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। ২৮ জুলাই বুধবার অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে নিজ অফিসে এসব হস্তান্তরকালে প্রদত্ত এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত কন্সাল জেনারেল সাদিয়া বলেন, ‘আজকে আমার পরম সৌভাগ্য যে, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের মাঝে দাঁড়িয়ে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত অভিনন্দন বার্তা, ধন্যবাদ বার্তা সেই সব বীর যোদ্ধাসহ মুজিব আদর্শে উজ্জীবিতগণের কাছে হস্তান্তর করতে পেরে আমি গৌরববোধ করছি। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, বিভিন্ন অথরিটি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা নীতি-নির্দ্ধারকগণের সাথে কাজ করে বাংলাদেশের ইমেজ মহিমান্বিত করতে যে রেজ্যুলেশন, প্রক্লেমেশন ও প্রস্তাবনা পাশ করিয়েছেন, তা অবশ্যই বড় একটি সাফল্য। এবং সেই অসাধ্য কেবলমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধারাই করতে পারেন-সেটি অকপটে স্বীকার করা হয়েছে এই অভিনন্দনপত্রে। আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাচ্ছি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনারা ভালো থাকুন যেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হই আপনাদের সহযাত্রী হয়ে।’
এই ধন্যবাদ পত্র গ্রহণের পর উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে কন্সাল জেনারেলের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র চ্যাপ্টারের কমিউনিকেশন্স ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। লাবলু উল্লেখ করেন, এভাবেই সকল ভালো কাজে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতার স্বাক্ষর পাওয়া যায় বলেই সকলে আরো ভালো কাজে উজ্জীবিত হচ্ছেন। এ সময় সেখানে ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া এবং ডেপুটি কন্সাল জেনারেল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এস এম নাজমুল হাসান। উল্লেখ্য, ধন্যবাদপত্র ১০ জনকে প্রদান করা হয়েছে। এরা হলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মনসুর, সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া এবং কমিউনিকেশন্স ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুরন্নবী, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটারন্স’৭১-এর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, জর্জিয়া স্টেটের সিনেটর (ডেমক্র্যাট) শেখ রহমান, নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের রিপ্রেজেনটেটিভ (রিপাবলিকান) আবুল খান এবং নিউঅর্লিন্স ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোস্তফা সারোয়ার। বাংলাদেশের জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাঙালির স্বাধীনতার জন্যে আজীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষার প্রসঙ্গসহ রেজ্যুলেশনসমূহ পাশ হয়েছে। এসব প্রক্রিয়ায় নেপথ্যে থেকে সার্বিক সহায়তা দিয়েছেন কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের প্রেরিত ‘থ্যাঙ্কস লেটার’ কন্সাল জেনারেলের কাছ থেকে গ্রহণ করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিব আদর্শে উজ্জীবিতরা।
Leave a Reply