আব্দুল সাত্তার, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাস চাপায় পুলিশ কনস্টেবল মারুফ নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক চালককে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১৭ জুন রাত আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি বাজার এলাকায় বাস চাপায় মারুফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। মারুফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটি নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে তার গ্রামের বাড়ী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকায় আসার পথে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। বাসের চালক সুজন (৩৮) ঘটনার পরপরই আত্মগোপন করে এবং হেলপার সাজ্জাদ হোসেনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল মারুফ এর মা বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় একটি মামলার দায়ের করেন যার মামলা নং-২৩, তাং-১৮ জুন ২০২২ খ্রিঃ, ধারা-সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/৯৯/১০৫।
ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর বাস ড্রাইভার সুজন দে (৩৮) ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে আত্মগোপন করে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত বাস ড্রাইভারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী চালায়। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে ঘাতক বাস ড্রাইভার সুজন চট্রগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৯ জুন ২০২২ খ্রিঃ তাখি ১০৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজন দে (৩৮), পিতা-মৃত বিমল দে, সাং-ইয়াছিন নগর, পো-ফকির টিলা, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, গত ১৭ জুন ২০২২ খ্রিঃ তারিখ বর্ণিত বাস চালিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম আসার সময় মোটরসাইকেল আরোহী কনস্টেবল মারুফুল ইসলাম এর সাথে সংঘর্ষ হয় এবং এর ফলে মারুফ মৃত্যুবরণ করে। অতঃপর সে বর্ণিত বাস দ্রুত গতিতে চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকায় এসে আত্মগোপন করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply