শ্রেষ্ঠ শহীদ ইমাম হুসাইন(রা:)
-মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব)
পাষন্ড এজিদের অসংখ্য সৈন্যের
নির্মম পাঁয়তারা,
ইমাম সাহেবের দলে বাহাত্তরজন মুজাহিদ
বীর দিশেহারা।
চল্লিশজন বীর অশ্বারোহী
বত্রিশজন পদাতিক,
জীবন উৎস্বর্গে ত্যাগী মহাপুরুষ
তাঁরা চঞ্চল গতিক।
ইমামের ক্ষুদ্র দল যুদ্ধের সাজ পরিধান করে
হুকুমের প্রত্যাশায়
জীবন বাজীর প্রহর গুনছে
পরকালের স্বর্গ আশায়।
ইমাম সাহেব মন্থর গতিতে
পড়িলেন রণের সাজ,
অগ্রীম দূত খবর দিয়াছে তাঁকে
শহীদে কারবালা আজ।
মাথায় বাঁধিলেন নবীর (স:) এঁর আমামা
গায়ে নবী (স:) এঁর অঙ্গের জামা,
কোমরে পড়িলেন হাসান (রা:) এঁর কটিবন্ধ
কারবালাকে করিবেন তামা।
পৃষ্ঠে ঢাল,বামহস্তে বর্শা
সঙ্গে আলী (রা) এঁর জুলফিকার,
উন্নত বপু দামামার সুর
এ যেন এক এলাহীর কারবার।
ইমাম সেনারা অসি,বল্লম,ঢাল,গোর্জ
নিয়ে সদা প্রস্তুত;
আদেশের অপেক্ষা করছে বীর মুজাহিদ
এসেছে শহীদের দূত।
ইমাম তাঁর প্রিয় অশ্ব
দুলদুলে হলেন সওয়ার,
অপেক্ষা করলেন তিনি
স্বপরিবারের আখেরী দো’য়ার।
বদনে উজ্জ্বল কান্তি
মস্তকে ঈষৎপক্ক লম্বিত কেশ,
সমর কান্ডে সর্বশ্রেষ্ঠ বীর
উন্নত তাঁর ব্যাশ।
চিবুকে ধূসর শ্মশ্রু
অপূর্ব মোলায়েম চাহনী,
ক্ষুধা তৃষ্ণা ভুলিয়া সকল কাঁপাইয়া তুলিল
‘আল্লাহু আকবার’শান্তির ধ্বনি।
পাষন্ড নিমক হারাম সীমারের হাতে
ইমাম সাহেব করলেন শাহাদাৎ বরণ,
অবাক পৃথিবী হায় হায় করে
এ কেমন মরন!
পাষন্ড সীমারের হাতে
দ্বিখণ্ডিত ইমামের মাথা
আনন্দে নাচিল এজিদ
ইমাম পরিবারে শোকের ব্যথা।
শ্রেষ্ঠ শহীদ ইমাম হুসাইন (রা:)
ইসলামের নেতা
বেহেশতে যুবকদের সর্দার
শহীদানদের ত্রাতা।
যুদ্ধ বিজেতা নয়- আত্মদানের মধ্য দিয়ে
হয়েছে তাদের জয়,
স্বর্ণখচিত অক্ষরে লিখা থাকবে তাদের নাম
ছিল না যাদের সংশয়।
বেঈমান এজিদ দল নিপাত হউক
দোযখের আগুনে যাক,
তাদের বর্বরতার কটাক্ষ প্রতীক
মুখের থু-থু চিরকাল হয়ে থাক।
হে কারবালা ! তুই চিরদিন সাক্ষ্য দিবি
যাদের ছিল দোষ,
সত্যবাদীদের পড়িয়ে দিবি মাল্য
মাখিয়ে দিবি বেহেশ্তের খোশ।
সৌজন্যেঃ মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ,মোজাদ্দেদপুর, জালালাবাদ,বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
Leave a Reply