মীর সরাইয়ের ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিন ঘরিয়াটোলা গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জায়গা সম্পত্তি জবরদখলের পাঁয়তারা ও হত্যার হুমকি দেওয়ায় মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ৪৭ /২০০৫ ইং তারিখে বাদী ওবায়দুল হক গং একটি মামলা দায়ের করেন বিবাদী নগেন্দ্রকুমার গং দের বিরুদ্ধে মীরসরাই জজ কোর্টে, কিন্তু বাদী দের বি এস রেকর্ডিয় জরিপ সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন মাননীয় আদালত।
ঘটনার আরো গভীরে গিয়ে জানা যায়,
ওবায়দুল হক গংরা চট্টগ্রাম সাব রেজিস্টার অফিসে ১৭১১ নং কবলা মুলে গত ২৬/৭/১৯৫৮ ইং তারিখে উক্ত সম্পত্তি খরিদ করিয়াছে মর্মে খরিদা একখানা কবলা দাখিল করেন।
কিন্তু কবলা টা স্টাম্পের উপর না হয়ে সাদা কাগজের উপর মুল দলিল হিসেবে চালিয়ে দেয় ওবায়দুল হক গং।
উল্লেখ্য যে মধ্যম মঘা দিয়া মৌজা আর এস খতিয়ান ২৪৩ মোতাবেক শরৎ চন্দ্রনাথ, গগন চন্দ্রনাথ, বনমালী নাথ পিতা মৃত রাম গোবিন্দনাথ গং দের নামে দাগ নং ৩৫৪২ মূলে ২৪ শতক, ৪৫৭৬ দাগ মুলে ৮৫ শতক, ও ৩৫৮০ দাগ মুলে ৭ শতক, মোট ১ একর ১৬ শতক নাল জমি রেকর্ড ভুক্ত আছে নগেন্দ্র কুমার গং দের নামে।
এবং এই বিষয়ে মাননীয় আদালত ঘটনা সত্যতা তদন্তের জন্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির হাতে চট্টগ্রাম বরাবর প্রেরণ করে মামলা টি, এবং সিআইডির প্রাপ্ত রিপোর্ট মোতাবেক অনুসন্ধানে জানা যায় যে মীরসরাই থানাধীন পূর্ব ইছাখালী মৌজার ২২০৭ নং রায়তী স্বত্ব জমির মুল পাট্টা তফসিল মৌজা পূর্ব ইছাখালী জেলা চট্টগ্রামের মহল নং ৩৪৬০৯ নোয়াবাদ ২৬৭৪ নং ইজারা কৈলাস চন্দ্র দাস মালিক, রাজ কৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় জেনারেল ম্যানেজারের অধীনে রায়তি শরৎচন্দ্রনাথ ২২০৭ নং রায়তি পাট্টা মোতাবেক আর এস জরিপের ১২৩২ নং এর অধীনে ১৭৫৬ নং খতিয়ান হয়। ১৭৫৬ নং খতিয়াদের ২২ ০৭ রায়তি পাট্টা দিয়া শরৎচন্দ্র নাথ তাহার ভাইদেরকে নিয়া মীরসরাই সাব রেজিস্টার অফিসে ১৯৪০ সালে আর এস এবং পাট্টা অন্তর্ভুক্ত করিয়া দলিল করেন।
উক্ত দলিল মোতাবেক মালিক হয় শরৎ চন্দ্রনাথ, গগন চন্দ্রনাথ, ও বনমালী নাথ, কিন্তু বিবাদী ওবায়দুল হকগণ ৪৭/২০০৫ এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট ভাবে লোভের বসবতি হইয়া মামলাটি করেন। এই মামলার সম্পূর্ণ রায়ে আদেশ নগেন্দ্র কুমার গং দের পক্ষে আসে।
এই মিথ্যে মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে নগেন্দ্র কুমার গং একটি সিআর মামলা করেন চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর, যার মামলা নং ১০৬/২০০৬ ইং তারিখে বিবাদী ওবায়দুল হক গং দের বিরুদ্ধে।
ধারা গুলো যথাক্রমে পেনাল কোড ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারার দন্ডবিধির সত্যতা পাওয়া যায় বিধায় মাননীয় আদালত বিবাদী ওবায়দুল হক গং দের কে জেল হাজতে পেরন করে।
এই মামলাগুলোর আদেশ নগেন্দ্র কুমার গং পক্ষে রায় আসায় প্রতিপক্ষ ওবায়দুল হক গং ক্ষিপ্ত হয়ে নানা সময় না নাভাবে নগেন্দ্র কুমার গং দের কে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে,তারই প্রেক্ষিতে আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় বাধ্য হয়ে নগেন্দ্রকুমার গং এরা মানব বন্ধন করে, মানববন্ধন শুরুর এক পর্যায়ে বিবাদী ওবায়দুল হক গং দের তাজল হক এর ছেলে মোঃ ফারুক (২৮) ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে নগেন্দ্র কুমার গং দের কে মারার জন্য তেড়ে আসে এবং সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে, এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রতিপক্ষ ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ভাড়াতে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেন, পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তোপের মুখে হুমকি দিয়ে ঘটনার স্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে এলাকার স্থানীয় তাজল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, তপন চক্রবর্তী, সাধন নাথ, কাকলি রানী দেবী, ও অঞ্জু বালা দেবী চট্টলা পোস্ট কে জানান এই জায়গাগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলে আসছিল, সবকটি মামলায় নগেন্দ্র কুমার গং দের পক্ষে রায় আসে, প্রতিপক্ষরা লোভের বশবতি হয়ে এই জায়গাগুলো জবরদখল করতে চায়,তারা আইন কানুনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সন্ত্রাসী ক্যাডার ফারুক সহ তাহার সহযোগীরা নগেন্দ্র কুমার দের কে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকার স্থানীয় এক বয়োবৃদ্ধ জানায় সন্ত্রাসী ক্যাডার ফারুক ইয়াবা মদ বিক্রি করে এলাকায় ত্রাস এর রাজত্ব করে আসছে,তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না, মানববন্ধনের শেষে নগেন্দ্র কুমারেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আকুল আবেদন জানিয়েছেন, যেন এই সন্ত্রাসী গডফাদার দের হাত থেকে তার পরিবারের লোকজন রক্ষা পায়।
Leave a Reply