আব্দুল সাত্তার টিটুঃ
বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রাক্তন সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর চট্টলার পাঠকপ্রিয় দৈনিক আজাদী’র প্রয়াত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ’র জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৫ জুলাই নগরীর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘‘গণতন্ত্র বিকাশ-দারিদ্রতা বিমোচনে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার ভূমিকা’’ শীর্ষক আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি সাবেক চসিক প্যানেল মেয়র অধ্যাপিকা রেখা আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কার্যকরী সভাপতি সাংবাদিক আলী আহমেদ শাহিন’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চসিক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন যুদ্ধাপরাধী বিশেষ ট্রাইবুনাল প্রসিকিউটর ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য নঈম উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফর আলী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিহা নাহার বেগম, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবু মোহাম্মদ হাশেম, প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ শ্রম সম্পাদক মো: খোরশেদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ’র পুত্র ও সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রণবরাজ বড়ুয়া। উদ্বোধকের বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি দেশের একজন অকুতোভয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতির ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এ অঞ্চলের সংবাদপত্রকে নান্দনিকতায় সাজানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক পাঠক সৃষ্টি করেছিলেন অধ্যাপক খালেদ। তিনি ছিলেন সাংবাদিকদের বাতিঘর নীতি আদর্শের পথিকৃৎ। প্রধান বক্তার বক্তব্যে এড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, চট্টগ্রামের সিংহভাগ সংবাদ কর্মীর ধারক ও বাহক ছিলেন অধ্যাপক খালেদ। দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধানের রচনার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। নিলোভ নিরহংকারী ও সৎ মানুষ অধ্যাপক খালেদ সারা জীবন সাধারণ মানুষের মনিকোঠায় বেঁচে থাকবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিক সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামকে উন্নয়নে ব্যাপক সমৃদ্ধিশীল করার জন্য অধ্যাপক খালেদ কর্মের পাশাপাশি নিরলস কাজ করে গেছেন। নতুন প্রজন্মকে অধ্যাপক খালেদের আদর্শ ও অনুপম চরিত্র উপস্থাপন করতে পারলে দেশ ও সমাজ থেকে সকল প্রকার কলহ ও বিবাদ নির্মূল সম্ভব হবে।
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আলী নেওয়াজ, যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, ছাবের আহমদ চৌধুরী, এ কে চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, মঞ্জুরুল আলম, এড. টিপু শীল জয়দেব, নারী সংগঠক মর্জিনা আক্তার লুচি, মানবাধিকার সংগঠক মঈনুদ্দীন কাদের লাভলু, জাকের হোসেন, শাহাবুদ্দীন চৌধুরী, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, ব্যাংকার আবদুল করিম চৌধুরী, সংগঠক এস এম দিদারুল আলম, নোমান উল্লাহ বাহার, শেখ মোজাফফর আহমদ, সাংবাদিক রোজী চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, রাশেদা আক্তার সুমি, পারভীন চৌধুরী, মোঃ খোরশেদ আলী মাইজভান্ডারী, সাংবাদিক মহিউদ্দীন আহম্মদ, পারভীন আক্তার চৌধুরী, শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইকবাল, জাহাঙ্গীর আলম রানা, ইয়াসিন সেলিম, সরওয়ার আলম, আবুল বশর, সরিৎ চৌধুরী সাজু, ইসমাইল কোম্পানী, শেখ আব্দুল্লাহ, জেসমিন আক্তার জেসি, জিএম ফয়সাল পারভেজ, তানজিরুল হক, মো: তিতাস, রিমন মুহুরী, সমীরন পাল, রতন ঘোষ, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply