নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার শুধু গরু চুরি নয়। সশস্ত্র ডাকাত দল
হানা দেয় চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের ১নং ফতেহনগর ওয়ার্ডে। সিসি টিভি ক্যামেরায় দেখা যায় ২৮ ফেব্রুয়ারী রাত ২:৪৬ মি: ডাকাত দল হাইন্স গাড়ি নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমেই পাশ্ববর্তী বাড়ির ক্যামেরার লাইন কেটে ফেলায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংকেত বেজে উঠলে এলাকাবাসী জেগে উঠে। ডাকাত দল
শিকদার পাড়ার রিয়াজুদ্দিনের গোয়াল ঘরে দেয়াল টপকে ঢুকে পড়লেও গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় আশেপাশের মানুষ জেনে যায়।
এলাকাবাসী পুরো ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেললে ;ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী হাইন্স গাড়ি সমেত ডাকাত দলকে ধাওয়া করলেও থানা পুলিশ সঠিক সময়ে এগিয়ে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
গুলিতে আহতদের মধ্যে এলাকার আরাফাত, সাজিদ, সাঈদ,ইবরাহিম,রবিউলের নাম জানা গেছে। ১নং ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।আহতদের প্রথমে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
প্রবীণ কয়েকজন এলাকাবাসী এই ধরনের গুলাগুলি করে গুরু চুরির ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন;” থানার এতো কাছাকাছি আমরা, বিভিন্ন জায়গায় সিসি টিভি ক্যামেরাও আছে অথচ পুলিশ এইসব ডাকাত দলকে খোজে পায়না”। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সশস্ত্র ডাকাত দলকে প্রতিরোধ করলেও জনপ্রতিনিধিরা গা বাচিঁয়ে চলছেন।
এই ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম কে ফোন করা হলে তিনি
ডাকাতদের গুলিতে ৫/৬ আহত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও, নিজেদের নির্লিপ্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি আহতদের অবস্থা গুরুতর নয় বললেন। ওসি সশস্ত্র ডাকাত দল হাইন্স নিয়ে ডাকাতির কথা স্বীকার করলেও তাদের গরুচোর বলে ধরতে অভিযান চালাচ্ছেন জানালেন প্রতিবেদককে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান যে, গ্রামীণ অত্যন্ত সরুরাস্তা দিয়ে ডাকাতদল হাইন্স গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ির সাথে মুখোমুখি হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি,গাড়ির নং পুলিশের দেখার কথা। এই বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করেন তারা এবং অবিলম্বে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply