1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রামে নির্মিত হলো ‘ভালো থেকো ছায়া’ শিরোনামে অমিত প্রেমের কবিতা চিত্র || উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরাম (বিটিএসএফ) এর ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত সীতাকুণ্ডে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন “ধানের শীষের বিজয়ই লক্ষ্য—৩৯নং ওয়ার্ড বিএনপির টানা উঠান বৈঠকে ঐক্যের অঙ্গীকার” চট্টগ্রামমুখী বাসে মদের গোপন রুট—র‌্যাবের অভিযানে ফাঁস ডক্টর মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন‌ের আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ কবিতাঃ বৃষ্টি পড়ে -স্বর্ণা তালুকদার রাউজানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নববিবাহিত যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অভিযানে  এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার,পাঁচ মাদক কারবারি আটক মানুষের পাশে থাকার লড়াই—নিজ উদ্যোগে সড়ক মেরামত করলেন শ্রমিকদল নেতা

স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা।

  • সময় বুধবার, ১ মে, ২০২৪
  • ২৩৬ পঠিত

বিশেষ সংবাদদাতাঃ

চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া থানার,বড় হাতিয়া,গ্রামের মাতা-রাজিয়া বেগম, পিতা- শাহ আলম,স্বামী-মো: আবু তাহের’র স্ত্রী
জয়নাব বেগম (৩৪), বর্তমানে- চট্টগ্রাম জেলার,
হালিশহর থানার,আর্টিলারী রোড,নিউ আই ব্লক, বাড়ী নং- ১১, ৫ম তলায় নিয়মিত বসবাস করে আসছিলেন- বাদীনি।

চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া থানার,চুনতি গ্রামের মাতা- মোস্তফা বেগম,পিতা- মোঃ ইব্রাহিম’র পুত্র মো: আবু তাহের(অব:), চাকরীর ঠিকানা-চট্টগ্রাম জেলার,ইপিজেড থানার, বা.নৌজা ঈশা খান, এফ আই এস, কক্ষ নং- ০১। বর্তমানে-চট্টগ্রাম জেলার, হালিশহর থানার, আর্টিলারী রোড,নিউ আই ব্লক, বাড়ী নং- ১১, ৫ম তলায় নিয়মিত বসবাস- আসামী।

বিবরণে:-মামলার বাদীনি জয়নাব বেগম জানায়, আমার সহিত আসামীর বিগত ১৫ এপ্রিল ২০০৮ খ্রি: তারিখে ইসলামী শরা- শরীয়তের বিধান মোতাবেক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দেনমোহর ধার্য্যে এবং রেজিষ্ট্রারী কাবিননামা মূলে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর আমার গর্ভে ও আসামীর ঔরষে ৪ (চার) টি সন্তান যথাক্রমে (১) তাসমিয়া জিহান (বয়স- ১৫ বছর), (২) তানজিম মাহমুদ (বয়স- ১১ বছর), (৩) তাসনুভা জাহান (বয়স- ৬ বছর) এবং (৪) তাইয়্যেবা মুসকান (বয়স- ১ বছর ৭ মাস) জন্মগ্রহণ করেন।

প্রথম ঘটনার তারিখ ও সময়: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকা। ১ম ঘটনার স্থান: হালিশহর থানাধীন আসামীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়া বাসা। সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময়: ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রি: বিকাল অনুমান ৪.৩০ ঘটিকা। সর্বশেষ ঘটনার স্থানঃ হালিশহর থানাধীন আসামীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়া বাসা। জয়নাব বেগম জানায় যে,আমি একজন সহজ, সরল, শান্ত, ভদ্র, নম্র ও আইন প্রিয় শিক্ষিত মহিলা। দেশের প্রচলিত আইন কানুন অত্যান্ত শ্রদ্ধার সহিত মানিয়া চলি।
আমার স্বামী মোঃ আবু তাহের জুলুমবাজ, পরধনলোভী, নারীলোভী, নারী নির্যাতনকারী, যৌতুক লোভী প্রকৃতির লোক।
আমার বিবাহের পর জানিতে পারি যে, আসামী একজন পরনারী আসক্ত। আমি পরনারী হইতে আসামীকে বহু চেষ্টা করিয়াও বিরত রাখতে পারি নাই। আসামী কথায় কথায় আমার নিকট যৌতুক দাবী এবং যৌতুকের দাবীতে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। যৌতুক লোভী আসামী তাহার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করিবার জন্য প্রায় সময় আমাকে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করিয়া আসিতে থাকে। আমি তাহাকে প্রতিবাদ করিলে আসামী আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করিত। উক্ত বিষয় নিয়া আমার ও সামি বর্তমান আসামী মধ্যে একাধিকবার শালিস-বিচার হইলেও আসামী কোন শালিস-বিচার মানেনা।

ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ গত ২২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ঘটনাস্থলে আসামী আমার নিকট ব্যবসা করিবার জন্য ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা যৌতুক চাহিলে আমি কোন যৌতুকের টাকা দিতে পারিবোনা বলে অস্বীকার করায় আসামী যৌতুকের দাবীতে আমাকে লাথি, কিল, ঘুষি ও চুলের মুঠি ধরিয়া আঘাত করিতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গিয়া উক্ত ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায়
সজোরে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমার কপালের বাম চোখের উপরে লাগিয়া মারাত্মক
রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। যাহাতে দুইটি সেলাই হয়। আসামী আমাকে একই কায়দায় তাহার হাতে থাকা কাঁচের ভাঙ্গা গ্লাস দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় সজোরে আঘাত করিলে আমি আত্মরক্ষার্থে মাথা সরাইলে উক্ত আঘাত আমার ঘাড়ে লেগে মারাতাক রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। যাহাতে একটি সেলাই হয়। উক্ত বিষয়ে আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ০২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হইয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। উক্ত বিষয় নিয়া আমি একাধিক সংস্থায় অভিযোগ করিয়াও আসামীর অসহযোগীতার কারণের কোন প্রতিকার পাই নাই। সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: বিকাল অনুমান ৪.৩০ ঘটিকার সময় তাহার বাসায় সাংসারিক কাজ করাকালীন সময়ে আসামী আমাকে বলে যে, “তুই কেন আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেছিস? তুই আমাকে ব্যবসা করিবার জন্য ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ)
টাকা যৌতুক দিবি নয়তো তোর সন্তানদের নিয়া আমার বাসা হইতে এখনিই বের হয়ে যাবি”
বলিলে আমি যৌতুকের টাকা আনিতে পারিব না বলার সাথেসাথে আসামী পুণরায় আমাকে
হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া মারাত্মকভাবে আহত করে চুলের মুঠি ধরিয়া টেনেহিচড়ে মাটিতে ফেলে সেলাইকৃত জখমের উপর মারাত্মক জখম করিলে আমার ক্ষতস্থার হইতে প্রচুর পরিমাণ রক্ত ঝড়িতে থাকে।

আমি আসামীর নির্যাতন সহ্য করিতে না পারিয়া যন্ত্রনায় চিৎকার করিতে থাকিলে আমার
সন্তানগণ আমার বাবা-মাকে ফোন করে আমার বাবা-মা ও পুলিশ আসিয়া আমাকে আসামীর কবল হইতে উদ্ধার করে। উক্ত সময়ে আসামী বলে যে, যৌতুকের ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা না দিলে তোর সাথে আর সংসার করিবনা। আরো বেশি টাকা যৌতুক নিয়া অন্যত্র বিবাহ করিব বলিয়া হুমকি প্রদান করে আসামী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বর্তমানে আসামী আমাকে হুমকি দিয়া বলিতেছে যে, যৌতুকের ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা না দিলে আমাকে আসামীর জওজিয়তে রাখিবেনা এবং আমি আসামীর বিরুদ্ধে কোন সংস্থায় মামলা মোকদ্দমা দায়ের করিলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে জানে খতম করিয়া ফেলিবে। আমি গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রি:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হইয়া ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি: পর্যন্ত বি-২ নং ওয়ার্ডে ও.সি.সিতে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়
থানায় মামলা দায়ের করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে আসিয়া মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করে। ঘটনার বিষয় লইয়া স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইলে তাহারা আপোষ করিবে বলায় আসামী পরবর্তীতে তাহা না মানায় আমি, মাননীয়,
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬, আদালত, চট্টগ্রাম গত- ০৭ মার্চ ২০২৪ খ্রি:।
আমার স্বামীর বিরুদ্ধে, (ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১ (খ) ধারা।) ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করিলে, বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগ খানা আমলে নিয়ে এফ আই আর করে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করার জন্য সূত্র: আদালত মামলা নং ৩৩/২০২৪ খ্রি: অফিসার ইনচার্জ, হালিশহর থানাকে নির্দেশ দিয়ে প্রেরন করিলে, অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ খানা প্রাপ্ত হইয়া হালিশহর থানার মামলা নং ২২/ তারিখ ১৯ মার্চ ২০২৪ খ্রি: ধারা: ১১(খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)।

মামলা রেকর্ড করার পর বিভিন্ন সময় আমাকে থানায় ডেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছেন, সাথে সাথে আমাকে হয়রানিও করা হয়েছে, কিন্তু আসামী আটক না করে তালবাহানা করিতেছে, আমার বিশ্বাস হালিশহর থানার পুলিশ আসামী গ্রেপ্তার করিবে না। অন্য কোন ষড়যন্ত্র চলছে আমার মনে হচ্ছে।

এ বিষয় আমি মাননীয়, প্রধান মন্ত্রী মহোদয়, স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক,ও স্হানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করছি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট