মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়।
বিগত ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সভায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দূর্বৃত্ত ও সমর্থকদের হামলায় ৪ জন নিহত হওয়ায় গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। পতিত ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নৎসাত করার জন্য ফ্যাসিষ্ট বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে আক্রমনের ঘটনা ঘটায়। ফলশ্রুতিতে সরকারকে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি করতে হয়। যা এই মূহুর্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবার নীল নকশা বলে মনে করা হয়। সভা এই প্রসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে। সভা আশা করে রাজনৈতিক দলগুলো অত্যন্ত সর্তকতার সাথে তাদের কর্মসূচি নির্ধারণ করবে, অন্যথায় গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ সভাকে বিস্তারিত অবহিত করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আজ রাত ৮টায় এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা হবে।
অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করে যে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বিঘ্নিত করার জন্য এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিশ্রুতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করবার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। মবোক্রেসি, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি অযোগ্যতা এবং নির্লিপ্ততা পরিস্থিতিকে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাবৃন্দ গণমাধ্যমে শুধুই কথাই বলছেন কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অতিদ্রুত সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি সংঘটিত মিডফোর্ডের নৃশংস হত্যাকান্ডে বিএনপিকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জড়িয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শিষ্টাচার বিবর্জিত বক্তব্য ও স্লোগান গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম, বিএনপি চেয়ারপার্সন, গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের তরুণ জনপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত যে সকল অশ্লীল বক্তব্য ও স্লোগান গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছে। সভা এই সব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায়। সভা মনে করে এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু রাজনৈতিক পরিবেশকেই বিনষ্ট করবে না গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে । সভা আশা করে সকল রাজনৈতিক দল পারস্পরিক মর্যাদা ও সৌহার্দের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই ধরনের অরাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবে। সেই সঙ্গে মিডফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় এবং অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
Leave a Reply