1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
“হযরত শাহ্ জালাল (রহঃ)” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব) দেশব্যাপী তীব্র গরম তাপদাহে সূর্যগিরি আশ্রম শাখার সুপেয় পানি ও শরবত বিতরণ কবিতার ছন্দে অনুষ্ঠিত হলো প্রত্যয়ের “অন্তর মম বিকশিত করো” পর্ব ৪ তীব্র তাপদাহে পটিয়ার জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীকে চট্টগ্রাম- দোহাজারী – কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান। বৃহওর চট্টগ্রামে আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকে ৪৮ ঘন্টা গণপরিবহন ধর্মঘট আহ্বান হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে ওয়াহিদুল আলম ওয়াহিদের ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ “তাপদাহের জ্বালা” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব )

মহেশখালীতে কলা চাষে  অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার পথে চাষীরা 

  • সময় শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৪৯ পঠিত
সরওয়ার কামাল মহেশখালীঃ
সবুজে মোড়ানো সম্ভাবনাময় বিলের বুকজুড়ে সাজানো কলাবাগান। এ অঞ্চলে দেখা যায় কলা গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলে আছে কাঁচা-পাকা কলার ছড়া। সময়ের সাথে সাথে ‘পাহাড়ের পর এবার ধান জমিতে কলা চাষে অর্থনেতিক স্বচ্ছলতার পথে হাঁটছে চাষীরা।
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কলাচাষী রমিজ  আলম বাণিজ্যিক ভাবে কলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তুলনামূলক কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন তিনি। চাষযোগ্য জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে এসব কলার চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে কলা চাষ হয়েছে। উপজেলার জনতাবাজার-গোরকঘাটা প্রধান সড়কের হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া গ্রামের পশ্চিমের বিলে ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। এই গ্রামীণ মেঠো পথের রাস্তার পাশে সারি সারি কলার গাছে ঝুলছে কলার কাঁদি।
রমিজ আলম হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া এলাকার মরহুম গোলাম কাদেরের পুত্র। রমিজ আলমের  দুই ছেলে দুই মেয়ে সন্তান সহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। ছোট-খাটো ও কৃষি কাজ করলে অভাব-অনটন পিছু ছাড় ছিলো না। দীর্ঘ দিন ধরে পান বরজের পাশপাশি জীবন-জীবিকার তাগিদে অবশেষে শুরু করেন কলা চাষ।
বাড়ির কয়েক কিলোমিটার দুরুত্বে ১৫০ কড়া জমিতে সাগরি কলার বাগান করার মাধ্যমে রমিজ আলম বেকারত্ব জীবনের অবসান হয়। এখন সংসারে তাঁর ফিরে এসেছে আর্থিক সচ্ছলতা। আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি তাঁর। এলাকায় এখন একজন সফল কলা চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে তিনি কলাচাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন অজপাড়া গ্রামে।
তার কলা বাগান দেখতে বা পাইকারী দামে কলা ক্রয় করতে ছুটে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
নিয়মিত বেচা বিক্রি চলছে পুরোদমে।
রমিজ আলম জানান, তিনি জমি বর্গা নিয়ে কলা চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে তার কলাবাগানে ৭’শ মতো কলার কাঁদি রয়েছে। বাকি গুলোতে কাঁদি আসতে শুরু করেছে।
প্রতিটি চারার মূল্য গুণগত মান অনুসারে ৩০-৪০ টাকা। চারা কলার গাছ লাগানের ৯ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কলা পাওয়া যায়।
জমিতে প্রথমবার চারা কলাগাছ রোপণ  করলে ওই কলা গাছ থেকে  বংশবৃদ্ধির ফলে ৩/৪ বছর নতুন করে কোন কলা গাছ রোপণ করতে হয় না। বরং প্রতিটি মা গাছ ৪/৫ টি করে জন্মানো চারা গাছ বিক্রি করা যায়।
এভাবে সব খরচ মিলে তার দেড় লক্ষ টাকা মত খরচ হয়েছে। সব কলা বিক্রি করে তিনি
বছরে সাড়ে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত  আয় করতে পারবেন বলে আশা করেছেন।
এভাবে প্রতিবছর সফল কলা চাষি হিসেবে প্রাপ্ত আয় থেকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে নিজেকে সফল কলা চাষী হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রমিজ আলম।
মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কলা চাষের জন্য উপযোগী স্থান। মহেশখালীর এখানকার জায়গা গুলো উচু ও ধোঁয়াশা হওয়ায় কলার চাষের জন্য উপযোগী।  এছাড়া চাষীদের  পরামর্শ দেওয়া হয়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট