পলাশ সেনঃ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে মেঘনা গ্রুপের লাইটার জাহাজ এম ভি মার্কেন্টাইলে ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন জলদস্যুকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ৫/৬ জন ডাকাত কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানাধীন শিকদারপাড়ায় মোঃ হোসেন আলী এর চৌচালা বসতঘরের ভিতরে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ মে ২০২২ ইং তারিখ রাত১১.১৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আবু বক্কর (৫৫), পিতা আবু তাহের, সাং-উত্তর নাগপাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ২। মোঃ মোজাম্মেল হক (৫১), পিতা-নুরু ছগির, সাং-রাজাখালী, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ৩। মাহমুদুল করিম(৪২), পিতা-মোঃ ফেরদৌস, সাং-দক্ষিণ দুরুং, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ৪। দিদারুল ইসলাম (৪৮), পিতা-আবু ছৈয়দ, সাং-শিকদারপাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং ৫। মোঃ মিনার (২৯), পিতা-সোনা মিয়া, সাং-খদ্দারছড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত সকল আসামীদের জ্ঞাতসারে তাদের নিজ হেফাজতে থাকা কোমড় হতে ০৩টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।ধৃত ১নং আসামী মোঃ মোঃ আবু বক্কর এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র,ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ০৩ টি মামলা রয়েছে, ধৃত ৩নং আসামী মাহমুদুল করিম এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, এবং মাদক সংক্রান্ত ০১ টি মামলা রয়েছে এবং ধৃত ৫নং আসামী মোঃ মিনার এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় অস্ত্র, মারামারি, চুরি, ডাকাতি সংক্রান্ত ০৩ টি মামলা রয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করে যে, তারা চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকার সংঘবদ্ধ জলদস্যু। তারা বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়ে নৌ পথে ট্রলারে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এছাড়াও এই দল দীর্ঘদিন যাবৎ চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকাসহ সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply