”উগ্রবাদ এবং সহিংসহ উগ্রবাদ প্রতিহত করতে পুলিশের সাথে সম্মুখসারীর সহযোগী হিসাবে কাজ করতে পারে আজকের যুব সম্প্রদায়। আপনারা যারা উপস্থিত আছেন তারা পুলিশকে উগ্রবাদীদের তথ্য দিয়ে একটি পরিবার হলেও বাচাতে কার্যকর সহায়তা করতে পারেন”।
অফিসার ইনচার্য তদন্ত, বাশঁখালী থানা।
দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পিস প্রকল্পের আওতায় ”উগ্রবাদ প্রতিহতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশ এবং ধর্মীয় নেতার ভূমিকা বিষয়ক “পাবলিক প্যানেল সভা” চট্টগ্রাম জেলার বাশঁখালী থানার সরকারী আলাওল কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবর ১৩, ২০২২ এ আয়োজিত পাবলিক সভায় প্যানেল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কাজী মো: সোলেমান, অধ্যক্ষ, সরকারী আলাওল কলেজে, মাওলানা আকতার হোসেন, অধ্যক্ষ, চুম্মাপাড়া মাদ্রাসা এবং বাশঁখালী থানার অফিসার ইনচার্য তদন্ত এস. এম. আরিফুর রহমান। সভাটি মডারেট করেন, দি এশিয়া ফাউন্ডশনের পিস প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার মো: নাসির উদ্দিন।
চুম্মাপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আকতার হোসেন বলেন, ”পবিত্র কোরআনে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে সেই ব্যাক্তি মুসলমান যে ব্যাক্তির হাত মুখ থেকে অন্য ব্যাক্তি সম্পূর্ন নিরাপদ। এর থেকে পরিষ্কার ভাবে বলা যায় যে, যারা ইসলাম ধর্ম অনুসরন করবে এবং মানবে তার থেকে সমাজ এর সকল ধর্মের মানুষ সম্পূর্ন নিরাপদ থাকবে এবং সমাজে শান্তিপূর্ন অবস্থান রাখতে সহায়তা করবে। কোন প্রকার উগ্রবাদ এবং সহিংস উগ্রবাদের স্থান ইসলামে নাই। ইসলামকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর মানুষ ভূল পথে আমাদের দেশের যুবকদেরকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য যানতে হবে”।
বাশঁখালী থানার অফিসার ইনচার্য তদন্ত, এস. এম. আরিফুর রহমান বলেন, ”উগ্রবাদ, সহিংস উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ শুধু মাত্র একজন মানুষকে ধ্বংস করে না বরং পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে। সমাজে, আত্মীয় স্বজনের কাজে পরিবারের সদস্যদের কোন অবস্থান থাকে না। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় জঙ্গীবাদের উত্থান হওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে। মানুষ হত্যা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহীনি প্রত্যেককে খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। আল্লাহর কুরআন এবং হাদীসের মিথ্যা ব্যাখ্যার মাধ্যমে সমাজের যুব সম্প্রদায়কে সমাজের বিভিন্ন বিষয়ের বিপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত করছে।
উগ্রবাদ এবং সহিংসহ উগ্রবাদ প্রতিহত করতে পুলিশের সাথে সম্মুখসারির সহযোগী হিসাবে কাজ করতে পারে আজকের যুব সম্প্রদায়। আপনারা যারা উপস্থিত আছেন তারা পুলিশকে উগ্রবাদীদের তথ্য দিয়ে একটি পরিবার হলেও বাচাতে কার্যকর সহায়তা করদে পারেন” ।
সরকারী আলাওল কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মো: সোলেমান, বলেন, ”আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পাই সমাজের নানা অসংগতি। যুবকরা হতাশায় নানান রকম সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা যদি
যদি যুবকদেরকে সেচ্ছাসেবী কাজে অর্ন্তভূক্ত করতে পারি তাহলে হয়তা কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব আমাদের সমাজে পড়বে”।
পাবলিক সভায়, পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক মোছা: দিলুয়ারা বেগম, কলেজের শিক্ষার্থী ৯০ জন, শিক্ষক ৩ জন, রোভার স্বাউট সদস্য, এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার মো: মোশাররফ হোসেন, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: হাবিবুর রহমান সহ মোট ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply