মোহাম্মদ জুবাইর:
চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরেশন ও নগরবাসীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় ভালো ফল আসবে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছারের কটুক্তি, অশালীন ও অরুচিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন-ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, হাসান মহমুদ হাসনী, শৈবাল দাশ সুমন, জহর লাল হাজারী, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, হুরে আরা বিউটি। উপস্থিত ছিলেন-কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, মো. শফিকুল ইসলাম, এম. আশরাফুল আলম, মো. মোবারক আলী, মো. মোরশেদ আলম, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মো. ইসমাইল, নুর মোস্তফা টিনু, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, মোহাম্মদ সলিম উল্ল্যাহ, মোহাম্মদ জাবেদ, নাজমুল হক (ডিউক), মো. ইলিয়াছ, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, আতাউল্লাহ চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, হাজী নুরুল হক, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, ছালেহ আহমদ চৌধরী, জোবাইরা নার্গিস খান, জেসমিন পারভীন জেসী, তছলিমা বেগম (নরজাহান), শাহীন আকতার রোজী, রুমকী সেনগুপ্ত, নীলু নাগ, ফেরদৌসী আকবর, লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, শাহনুর বেগম প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, নগরীতে আমরা যারা বসবাস করি সবাই পৌরকর দিয়েই বাস করছি। কোন কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হতে পারে। সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। যেকোন বিষয়ে নগরবাসী দ্বিমত পোষন করতে পারেন, সে বিষয়ে যুক্তিসংগত ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। তবে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন তা অশালীন ও অবমাননাকর। তিনি আরো বলেন, সিটি মেয়র ৬০ লক্ষ জনগণের অভিভাবক প্রতিমন্ত্রী মর্যাদাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নগরীর সান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তাতে নগরবাসী আহত হয়েছে। তিনি গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর যে অপচেষ্টা চলছে তা দুঃখজনক বলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, বিগত ২০০৯সালে কর পুন:মূল্যায়ন করা হয়েছিলো সে সময় অভিযোগগুলো আপীলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। তারপর আর পৌরকর মূল্যায়ন করা হয়নি। ২০১৭সালে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কর পুন:মূল্যায়ন করা হলে তা পরবর্তীতে স্থগীত হয়। বর্তামনে আবারও সরকারি নির্দেশনার আলোকে সিটি কর্পোরেশন কর পুন:মুল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, কর পুন:মূল্যায়ন করতে গিয়ে মেয়র প্রত্যক্ষ করেন ২০১৭সালে এসেসমেন্টে ত্রুটিযুক্ত। তাই সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এই বিষয়ে নগর বাইশ মহল্লা কমিটি, নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। বকেয়া পৌরকর পরিশোধ পূর্বক ২০১৭সালের কর মূল্যায়নের উপর আপীল করার আহবান জানান। মেয়র আপীলে রাজস্ব সার্কেলের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এই বিষয়ে পত্রিকায় দুইজন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরসহ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনসাধারণকে অবহিত করা হয়েছে তাদের অভিযোগ প্রদানের জন্য। উক্ত কর্মকর্তাগনের মাধ্যমৈ আপীলকারীদের অীভযোগ ও অনৈতিক অর্থ গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে তাও নিরসন করা হচ্ছে। তারপরও কোন করদাতা যদি সন্তুষ্ঠ না হয় তিনি সরাসরি সিটি মেয়রের সাথে দেখা করে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, ইতোমধ্যে অনেকে তাদের বকেয়া কর পরিশধ করে আপীল করেছেন এবং আপীলে তারা সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি যখন মীমাংসার পর্যায়ে আসছে ঠিক তখনই একটি কুচক্রী মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার মানষে আন্দোলন সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে। তারা সিটি কর্পোরেশন ও জনসাধারণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তোদের এধরণের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে ক্ষমা প্রার্থনাসহ ষড়যন্ত্র পরিহারের আহবান জানাচ্ছি।
Leave a Reply