1. bappy.ador@yahoo.com : admin :
  2. chattogramerkhobor@gmail.com : Admin Admin : Admin Admin
রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জীবন যুদ্ধ সংগ্রামের আরেক নাম সনিয়া ৮ জুন চট্টগ্রাম মহানগরে অটোরিকশা, টেম্পো‘র কর্ম বিরতি ঘোষণা। ঢাকা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত মহিলা বিষয়ক সম্পাদকদের ঈদ পূর্ণমিলনী সভা সম্পুর্ন বোয়ালখালী বিএনপির উদ্যােগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সিলেটে মাদকবিরোধী গণসচেতনতা ক্যাম্পিং, আলোচনা সভা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সুদের টাকার জেরে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি, বিএনপি–জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। চট্টগ্রামে ১৭ ব্যবসায়ী সিআইপি হলেন। পিবিআই বাগেরহাট জেলার আয়োজন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর চট্টগ্রাম মহানগর ও মিরসরাই উপজেলা কমিটি গঠন।

গেইম আসক্তির জেরে অভিমান করে কিশোরের আত্মগোপন, পাঁচ মাস পর উদ্ধার।

  • সময় শনিবার, ৭ মে, ২০২২
  • ১২২ পঠিত

পলাশ সেন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:

গত ১০ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় ভিকটিম অভিক দে (১৫), পিতা- প্রভাস দে, মাতা- কনিকা দে, সাং-ডাবুয়া, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম বর্তমানে ডিসি রোড, গনি কলোনী, গনি সাহেবের ভাড়াটিয়া, ১৩নং বাসা, থানা-চকবাজার, জেলা-চট্টগ্রাম তার বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। ভিকটিমের নিখোঁজ হওয়ার পর হতে ভিকটিমের মা-বাবা, আত্বীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার থানায় নিখোঁজ ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি করে যার নং-৪৮৩ তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২১ইং এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে চকবাজার (সিএমপি) থানায় ০৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয় যার নং- ০৭, তারিখ- ২৬/০৩/২০২২খ্রিঃ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৩০।

নিখোঁজ ভিকটিমের মা-বাবা তার ছেলেকে কোথায়ও খুঁজে না পেয়ে আত্বাহারা হয়ে নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় র‌্যাব-০৭, চট্টগ্রাম বরাবর চকবাজার (সিএমপি)থানার মামলা ও জিডির কপিসহ একটি আবেদন করে বিষয়টি অবগত করে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি গুরুত্বের সহিত আমলে নিয়ে নিখোঁজ ভিকটিম এবং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ০৬ মে ২০২২ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২২২৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন নিউ চান্দঁগাও থানামোড় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের মায়ের সনাক্ত মতে নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায়, সে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ দুপুরে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেমস খেলছিল। তখন তার বাবা-মা তাকে বলে “লেখা পড়া বাদ দিয়ে গেমস খেলছো কেন” লেখাপড়া বাদ দিয়ে গেমস খোলার কারনে বাবা মা অভিক দে’কে শাসন করে। এক পর্যায়ে তার বাবা রাগের মাথায় বলে “তোমার রোজগার তুমি করে খাও” এই কথা শোনার পর ভিকটিম অভিক দে তার বাবা মার সাথে রাগ করে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ঘটনার দিনেই ভিকটিম অভিক দে চট্টগ্রাম শহরের অলংকার এলাকার একটি রেষ্টুরেন্টে চাকুরী নেয়। সেখানে ০১ মাস ২২ দিন চাকুরী করার পর সে পরবর্তীতে চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় এলাকার আরেকটি রেষ্টুরেন্টে চাকুরী নেয়। সেখানে সে ০১ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখ হতে কাজ করতে থাকে কাজের এক পর্যায়ে ওখানকার এক ষ্টাফের কথায় ক্ষুদ্ধ হয়ে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে সে পুনরায় চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় নিউ চান্দগাঁও রেষ্ট হাউজে চাকুরী নেয়। সেখানে ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখ হতে উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত চাকুরীতে কর্মরত ছিল। উল্লেখ্য যে, নিখোঁজ ভিকটিম অভিক দে নিখোঁজ থাককালীন সকল জায়গায় তার আসল নাম পরিবর্তন করে নয়ন দে নামে পরিচয় দেয় এবং সে ইচ্ছে করেই বাবা মাকে তার অবস্থানের কথা বলেনি।

উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যায়, নিখোঁজ ভিকটিম অভিক দে প্রাপ্ত বয়স্কদের একটা গ্রæপের সাথে চলাফেরা ছিলো। এই গ্রæপে অভিক দে অপহরন মামলার তিন আসামী হান্নান, লিও দাস, ও জয় নাম রয়েছে। হান্নান ইউরোপের পোল্যান্ড থাকে এবং জয় থাকে কাতারে। মূলত এরা বিশেষ করে যখন দেশে ছূটিতে থাকে তখন এ উশৃঙ্খল ও বিকৃত রুচির গ্রæপের কার্যক্রম বেড়ে যায়। নিখোঁজের সময় হান্নান ও জয় ছুটিতে ছিল। এ গ্রæপের সদস্যরা পরস্পর এডাল্ট ভিডিও শেয়ার করত ও ইন্টারনেট পর্নোগ্রফিতে আসক্ত ছিল। পাবজি খেলার পাশাপাশি অভিক দে এসবে আসক্ত হয়ে পড়ে। সে গোপনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক একাউন্ট চালাত ও বেনামি ৫/৬ টি সিম ব্যবহার করত। পড়াশুনা প্রায় ছেড়ে দিযে সে সারাদিন এসব নিয়ে পড়ে থাকত বলে বাবা-মা কড়া শাসন শুরু করলে সে তার গ্রুপের অন্যান্য এডাল্ট দের মত স্বাধীনতার খোঁজে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। তার হদিস কেউ যেন না পায় এজন্য সে তার ব্যবহৃত মোবাইল টিও রেখে যায়। কিন্তু পরে নয়ন দে নামে এক ছদ্মনামে ফেসবুক একাউন্ট খোলে। আতœগোপণ থাকাকালীন সে নিজেকে নয়ন দে নামে পরিচয় দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম ঠিকানা দিয়ে অবস্থান করে।

উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট