1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দীঘিনালায় বন্ধ হওয়া মসজিদ নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করতে মানববন্ধন সমাজসেবক মরহুম নুরুল আলম সওদাগরের ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী “হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ:)” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব ) “হযরত ওসমান (রাঃ)” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব ) অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা খানের সাথে আসফ নেতৃবৃন্দের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় “নববর্ষের চেতনা” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব ) সিলেটে ঈদ উপহার দিলেন মনচন্দ্র সুশীলা, বিমান পটু ও রেনুপ্রভা প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশন বটতল ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা ও কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা মাইজভান্ডারি সূর্যগিরি আশ্রম শাখার উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র-সামগ্রী প্রদান “বাঁকা চাঁদের হাসি” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব )

চট্টগ্রামে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

  • সময় বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২
  • ২০৭ পঠিত

ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামে স্যানডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’র ডাক্তার রেহনুমা ও তার সঙ্গীয় নার্স/টেকনেশিয়ানদের চিকিৎসা জনিত স্বেচ্ছাচারিতা অবহেলা এবং মেডিকেল শিক্ষার চরমপন্থী আচরণের কারণে কিডনি রোগী সাফিয়া খানম নামের অসহায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ই জুন বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এফ রহমান হলে সকাল ১১ টায় সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করেন মৃত রোগীর পরিবারের পক্ষে স্বামী এম এ মাসুদ, পুত্র তানভির আহমেদ,মেয়ে তামান্না তানজীর। এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মৃত রোগীর আত্মীয় আবু বক্কর সিদ্দিক,রাসেদ খান রাসু।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এম এ,মাসুদ বলেন
আমি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন বর্ষীয়ান নাগরিক স্থানীয় জাতীয় পত্রিকার উপ সম্পাদকীয় পাতায় লেখালেখি করে আমার অবসর জীবনের সময় গুলো কাটে।
আমার স্ত্রীর সাফিয়া খানম ৬০ বছর বয়সে কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত একজন গৃহবধূ। কিডনি রোগের জন্য আমার স্ত্রীকে প্রতি সপ্তাহে রোববার এবং বুধবার ডাইলাসিসে নিতে হয়। ঘটনার দিন ৫ই জুন রবিবার রাত ৯টায় আমার ছেলে তানভীর আমার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন স্যানডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের ক্লিনিকে রায়।রাত ১০:২০ মিনিটের সময় তাকে বেডে শোয়ানো হয়। উক্ত তারিখের আগে যতবার ডায়ালিসিস করা হয়েছে ততবার মহিলা নার্স/ টেকনিশিয়ান দিয়ে ডাইলাসিস শুরু করা হতো। কিন্তু সেই দিন ‘জয়’ নামের একজন পুরুষ টেকনিশিয়ানকে দিয়ে ডায়ালাইসিস শুরু করে। মহিলা টেকনেশিয়ান দিয়ে ডায়ালাইসিস করার জন্য অনুরোধ করা হলেও রোগীর পক্ষের কারো অনুরোধ রক্ষা করা হয়নি। বরঞ্চ আমার স্ত্রী ও ছেলের সাথে উক্ত নার্স টেকনিশিয়ানরা অভদ্র আচরন করে এবং আমার স্ত্রীর ডায়ালাইসিস শুরু করতে অস্বীকার করে।ডায়ালাইসিস শুরু করার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে আমার স্ত্রীর পছন্দ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স এবং চিকিৎসক ডাক্তার রেহনুমা কে আমার ছেলে তার মায়ের কষ্টের কথা অবহিত করলে ডাক্তার রেহানা ধমক দিয়ে বলেন “রোগীকে রক্ত দিতে হবে তা আপনারা জানেন না? জান রক্ত জোগাড় করে নিয়ে আসুন”..
সেইদিন সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো অগ্নি দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য রক্ত দিতে আসা গাউছিয়া কমিটির লোকজন তাদের দেওয়া রক্ত থেকে এক ব্যাগ রক্ত আমার ছেলে তানভীর এবং আমার আত্মীয় রাশেদ খান রাসুকে দিয়ে দেন। তারা রক্ত নিয়ে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ডায়ালাইসিস সেন্টার এসে ডাক্তার এখন আমাকে রক্ত জোগাড় হবার কথা অবহিত করলে ডাক্তার রেহেনুমা রেগে গিয়ে বলেন যে “রোগীকে এখানে ডাইলেসিস দেওয়া সম্ভব না অন্য কোন হাসপাতালে নিয়ে যান উনার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৭২ . আমি রিক্স নিতে পারবো না।
ডাক্তার রেহান আমার এই হটকারী সিদ্ধান্তের সাথে জোরালো সমর্থন দেয় উপস্থিত নার্স ও টেকনিশিয়ান গন।
একথা বলার পর ডাক্তার রেহনুমা আমার স্ত্রীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলেন এবং উপস্থিত নার্সদের আমার স্ত্রীকে ফুল চেয়ারে বসে বাইরে নিয়ে যেতে বলেন। এসময় আমার ছেলে ও আমার আত্মীয় পছন্ড শ্বাসকষ্টের একজন রোগীকে অক্সিজেন ছাড়া কিভাবে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন সে প্রশ্ন করলে ডাক্তার রেহনুমা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। উনাকে বারবার অনুরোধ করে বলা হয় যে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে রোগীর মুখের মাস্ক লাগিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল এর কোন মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হোক। ডাক্তার রেহেনুমা এতে কর্ণপাত করেননি। ডাক্তার রেহনুমা অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাওয়া একজন রোগীকে
ডায়ালাইসিস সেন্টার থেকে বাইরে নিয়ে যেতে উপস্থিত তার অধীনস্থ নার্স/ষ্টাপদের নির্দেশ দেন। আমার স্ত্রীকে যখন হুইল চেয়ারেয করে ডায়ালাইসিস সেন্টার এর বাইরে আনা হয় তখন আমি এবং আমার কন্যা সেখানে গিয়ে পৌঁছি। স্যানডর ডাইলোসিস কর্তৃপক্ষ ডাক্তার নার্স টেকনিশিয়ানদের এমন অমানবিক আচরণ ও দুর্ব্যবহারের প্রেক্ষিতে ডায়ালাইসিস করতে আসা রোগীদের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।তারা সহ আমার ছেলে,কন্যা,আমি ও আত্মীয় মিলে হুইলচেয়ার ঠেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাইরে নিয়ে আসি। ততক্ষণে হুইল চেয়ারে বসা আমার স্ত্রীর শরীর নেতিয়ে পড়ে এবং তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। আমরা দ্রুত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে নিকটস্থ পার্কভিউ হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তরগন আমার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমি আপনাদের ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ মাধ্যমে এই বিষয়ে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট