প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
৬ দফা দাবীতে কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি এন্ড ফার্মেসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে সারা বাংলাদেশে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামেও দ্বিতীয় বারের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দাবী উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম শাখার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সদস্য সচিব হাবিবে রাব্বি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মাহমুদুল হক, রাণী আক্তার,সাইফুল ইসলাম, আনসার আলী,মিজান ও আজিজুর রহমান প্রমূখ। অসংখ্য ডিপ্লোমাধারী এবং গ্রেজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয়ে দাবীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে। বক্তারা বলেন,চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগ নির্ণয়ের মূল কাজই করেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা। এ জন্য একজন চিকিৎসকের বিপরীতে পাঁচজন টেকনোলজিস্ট রাখার সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। কিন্তু দেশের সরকারি হাসপাতালে ৮০ হাজারের বেশি টেকনোলজিস্টের চাহিদা থাকলেও আছে এক শতাংশেরও কম। তারপরও ১৪ বছর ধরে সরকারি হাসপাতালে হচ্ছে না টেকনোলজিস্ট নিয়োগ। অথচ প্রতি বছর বহু টেকনোলজিস্ট বের হচ্ছেন। যাদের ৯০ শতাংশই যাচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এতে করে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভিড় থাকলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাদের দুষছেন এবং পৃথক অধিদপ্তর গঠনের দাবি তুলেছেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা উভয় বিভাগের অধীনস্থ মেডিক্যাল টেকনোলজি শিক্ষা এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেশাজীবীদের পেশাগত লক্ষ্য বাস্তবায়ন, বদলি, পদোন্নতি, উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, সমন্বয়ের জন্য স্বতন্ত্র উইং নেই। ফলে সব ধরনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত টেকনোলিজস্টরা। বিগত সরকারের কাছে বারবার চিঠি ও আবেদন জানিয়েও পৃথক অধিদপ্তর হয়নি।
এছাড়া স্বতন্ত্র অধিদপ্তর গঠন ও দশম গ্রেড পদমর্যাদার পাশাপাশি স্থগিতকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু, নবম গ্রেডের পদসৃষ্টি করে চাকরিজীবীদের আনুপাতিক হারে পদোন্নতির নিয়ম বহাল রেখে স্ট্যান্ডার্ড সেটআপ ও নিয়োগ বিধিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি তাদের। একই সঙ্গে ঢাকা আইএইচটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে সব আইএইচটিতে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট শিক্ষকদের স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার প্ল্যান গঠন করে বিদ্যমান নিয়োগবিধি ও অসঙ্গতিপূর্ণ গ্রেড সংশোধন, টেকনোলজি কাউন্সিল ও ডিপ্লোমা মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ড গঠন এবং প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ ছাড়া সব অনুষদের বিএসসি ও এমএসসি কোর্স চালু এবং স্কলারশিপসহ প্রশিক্ষণ ভাতা চালু করার দ্রুত দাবী জানানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
Leave a Reply