একটি দলের ভবিষ্যত নির্ভর করে তার ছাত্র এবং যুব নেতৃত্বের উপর।
ছাত্র এবং যুব নেতৃত্ব যদি শিক্ষিত এইমিং এবং অনেস্ট হয়, দলের আদর্শের প্রতি অবিচল এবং দেশ মাটি মায়ের প্রতি অবিডিয়েন্ট থাকে তাহলে দেশ এবং দলের ভবিষ্যত নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল হয় বহুলাংশে।
তাছাড়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করাটাও এখন বেশ চ্যালেঞ্জের।
তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে যে শুদ্ধ পথচলা শুরু হয়েছে তা রক্ষা করাও আওয়ামী যুবলীগের জন্য অপরিহার্য, তবে কঠিন ও বটে-যদি না নেতৃত্ব শিক্ষিত নির্লোভ সৎ তীক্ষ্ম দূরদৃষ্টি সম্পন্ন না হন!
উপরের কথাগুলোর প্রেক্ষিতে এবং আগামীর পরিবর্তিত দেশীয় চ্যালেঞ্জিং রাজনীতির কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রাম উত্তরের রাজনীতি সচেতন নাগরিকগণ মনে করেন আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি পদে গোলাম কিবরিয়া বেশ মাননসই।
কারণ তার রয়েছে একাডেমিক উচ্চতর ডিগ্রি এবং ছাত্র নেতৃত্বদানের উজ্জ্বল ইতিহাস। উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য থাকার সুবাদে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে রয়েছে তার হাতে কলমে অভিজ্ঞতা।
জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা (থানা পর্যায়ে) উপকমিটির সদস্য থাকার সুবাদে জানতে পেরেছেন সুষ্ট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তা। ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মনোভাব আকুলতা প্রত্যক্ষ করেছেন মাঠে থেকে।
ব্যক্তিগতভাবে বন্ধুবৎসল জনবান্ধব হওয়ায় আপামর মানুষের সাথে রয়েছে বেশ সখ্যতা আন্তরিকতা। যা খুব কম দেখা যায় অন্যান্য ছাত্র যুব নেতাদের মাঝে।
প্রচারবিমুখ কিবরিয়া বেশ সরব সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এবং কষ্টে। ডাক পেলে রাতবিরাতে কিবরিয়া ছুটে চলেছেন মানুষের কাছে। যা তাকে দিয়েছে আলাদা মর্যাদা।
দলীয় রাজনীতি কিংবা দলের আদর্শের প্রতি অবিচল এখন অবধি। অনেকের মতো দান দক্ষিণায় দল দেশ আদর্শকে বিকিয়ে দেননি কিবরিয়া।
তার এই দৃঢ় চরিত্রের কথা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফোরামে বেশ আলোচিত এবং প্রশংসিত।
ক্ষমতা প্রভাবের কাছাকাছি কিংবা এর ভিতরে যারা থাকেন তারা সাধারণত ধরাকে সরা জ্ঞান করেন না, এখানেই কিবরিয়াকে ব্যতিক্রম দেখা গেছে। নিজে যখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন তখন দেখা গেছে সাধারণ ছাত্রদের সাথে মিশে কাজ করতে। কখনো কোন সময় অহঙ্কার তাকে স্পর্শ করতে দেখা যায়নি। অথচ সর্বদা নিজ ব্যক্তিত্ব দিয়ে দলের পক্ষে কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে।
আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর থেকে দেখা যায়, নব্য সুবিধাবাদী হাইব্রিড কাউয়া লীগের ছড়াছড়ি। যাদের পরিবার কখনোই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় তারাই বর্তমানে হর্তাকর্তা।
সেখানেও আওয়ামী রাজনীতির সাথে কিবরিয়ার পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ়। তিনি এবং তার ভাই সেই স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। প্রথমে স্কুল ছাত্রলীগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থানা হয়ে জেলা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।
সেপ্রেক্ষিতে বলা যায়, কিবরিয়ার হাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিরাপদ।
পরিশেষে এটুকুই বলি, কোন কালোশক্তি রাতের খেলা পেশিশক্তি টাকার খেলা বা লবিং যদি কোন কালো ছোবল কিংবা মরণ কামড় দিতে না পারে, তাহলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সুন্দর মানবিক যুবলীগের পথচলা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যার পরিক্ষীত সৈনিক পরিচ্ছন্ন শিক্ষিত ডাইনামিক যুব লিডার গোলাম কিবরিয়াকে বেচে নিবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে।
সুন্দর মানবিক যুবলীগের পথচলা অব্যাহত থাকুক
গোলাম কিবরিয়া সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোক।
যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ | রাজনীতিক বিশ্লেষক
Leave a Reply