নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে কর্পোরেশনের প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের তাগিদ দিতে বলেছেন। ঠিকাদারদের অবহেলার কারণে অনেকক্ষেত্রে কর্পোরেশনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নাগরিক সেবা কার্যক্রমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে ঠিকাদারদের বিষয়ে কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর টাইগারপাসস্থ কর্পোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে জাইকার সিটি গর্ভানেন্স প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সাথে নগরীতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলাপকালে এ কথা বলেন।
মেয়রের সাথে জাইকার কর্মকর্তাদের যেসব প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো হলো পতেঙ্গা গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রকল্প, মেরিনার্স রোড প্রকল্প, বারেক বিল্ডিং হতে নীমতলা স্ট্যান্ড রোড প্রকল্প, গুলবাগ রোড, ফইল্ল্যা পাড়া রোড, বারেক বিল্ডিং মোড় হতে রশিদ বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত রোড, আইস ফ্যাক্টরী রোড, স্ট্যান্ড রোড, কবি নজরুল ইসলাম রোড, এফআইডিসি রোড, ইস্পাহানী গেইট, দুলুমিয়া রোড, বিজয় নগর রোড, সাগরিকা রোড, পোর্ট কানেক্টিং রোডের অলংকার হতে কলকা সিএনজি পর্যন্ত।
আলোচনায় পতেঙ্গা গার্লস হাইস্কুলের কাজের ধীর গতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই স্কুলের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারদের অবহেলার কারণে স্কুলটির কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাচ্ছেনা বলে চসিকের প্রকৌশলীরা মেয়রকে অবহিত করেন। এই স্কুলের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারের নিজস্ব কোন অর্থের যোগান না থাকায় ব্যাংকের টাকায় পতেঙ্গা স্কুলের কাজ সম্পন্ন করা লাগছে। কারণ ওই স্কুলের উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার তাঁর কাজের বিপরীতে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তাও পরিশোধ করছেন না। ফলে একদিকে কাজ শেষ করা যাচ্ছেনা অন্যদিকে ব্যাংকের লগ্নিকৃত টাকা আটকে আছে।
এমতবস্থায় ব্যাংক মধ্যস্থতা করে আরো টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ঋণের টাকা ফেরত পেতে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করতে চায়। তবে জাইকার কর্মকর্তারা এ ধরণের অসৎ ঠিকাদারদের বিষয়ে অবিষ্যতে কি করা যায় তা ভেবে দেখতে বলেন। সমস্ত আলোচনা শুনে মেয়র উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তাদের লাভ-ক্ষতির কারণে কর্পোরেশনের দুর্নাম আমি মেনে নিবো না।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, কামরুল ইসলাম, মুনিরুল হুদা, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সিদ্দীক, আশিকুল ইসলাম, জাইকার প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র ফিল্ড ইঞ্জি. নাসির হোসেন, জুনিয়র ফিল্ড ইঞ্জি. মো. সিরাজ প্রমুখ।
Leave a Reply