1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত পেশাজীবী সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ইয়ুথ ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন আন্দরকিল্লায় গীতাধ্বনি’র উদ্যেগে গীতাজয়ন্তী সত্যিকারের শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরীতে অধ্যাপক তপনজ্যোতি বড়ুয়ার মতো ব্যক্তিত্বদের রচনাসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য উরকিরচরে দোয়া মাহফিল। চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়িয়ে বৈশ্বিক বিস্তার—এসএসসি ’৯১ ব্যাচ এখন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হকার্স দল ইপিজেড থানা শাখার আয়োজনে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল ১৭তম বর্ষপূর্তি ও প্রয়াস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ আগামী ৬ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হবে মিরসরাইয়ে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং প্রগ্রেসিভ ওয়েস্টের মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর উদ্যো‌গে দুর্গম পাহাড়ে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

জীবন যুদ্ধ সংগ্রামের আরেক নাম সনিয়া

  • সময় শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩
  • ৭৩৪ পঠিত

মনিরুল ইসলাম রিয়াদ,

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর ডিসিহিলে প্রবেশ করতে দেখা মিলবে ৬ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা ছোট্ট সনিয়ার!
ফুল আছে! ফুল নিবেন বলে হাতে বিভিন্ন কালারের গোলাপ নিয়ে ডাকছে ছোট্ট একটি শিশু। বয়স ৬ কি ৭ হবে, এটুকুন বয়সে সড়কে ফুল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। বলছিলাম ৬/৭ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা সনিয়া’র কথা। চট্টগ্রাম নগরীর ডিসিহিল গেলে দেখা যাবে ছোট্ট এই শিশুটিকে। বাবা হাড়ানো আর কর্মহীন মায়ের মুখে দু’মুঠো আহার তুলে দিতে সংসারের গুরুদায়িত্ব ছোট কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। যে বয়সে সহপাঠীদের সাথে হেসে খেলে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, সে বয়সে সড়ক দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই শিশুটি। এই ডিসিহিলের পাশ দিয়েই কোটি টাকার লাক্সারি গাড়ি হাকিয়ে চলাচল করেন অনেকে তবে কারো চোখ আটকায়নি ছোট্ট এই মায়াবী কন্যাকে দেখে। বাবা হাড়ানোর কারণে এখন পড়াশোনা একেবারে বন্ধ।

বাবার স্থানে হাল ধরেছেন সনিয়া পরিবার দেখাশুনার জন্য মাও অনেকটা এখন কর্মহীন। সংসারে উপার্জনের প্রায় সব পথ বন্ধ৷ আর তাই এদিক সেদিক কিছুই বিবেচনা না করে আহারের সন্ধানে নেমে পড়েছে ছোট্ট সনিয়া। মা আর ছোট্ট তিনবোন এক ভাইসহ সংসারে পাঁচ সদস্য তার। পাঁচ সদস্যদের ব্যায়ভার একাই বহন করে ছোট্ট সনিয়া। দৈনিক ১.০০০ টাকার গোলাপ বিক্রি করলে ৫/৬শত কিংবা ৪শত টাকা আয় হয় তার। আর এই দিয়েই চলে সনিয়ার পরিবার। ফুল বিক্রি করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকে সে। আর দিন শেষে সব টাকা মায়ের হাতে তুলে দেয়। সকাল থেকে বিকেল অবধি ফুল বিক্রি করে আবার কখনও কখনও সন্ধ্যা নেমে আসলেও বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে। সনিয়া এসব ফুল সংগ্রহ করে পাইকারি ফুল বিক্রির দোকান থেকে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ভোরে দোকান থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করে সে।

সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর যদি সনিয়ার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিত তাহলে আট দশটা শিশুদের মতো হেসেখেলে বড় হয়ে উঠতো সনিয়া। সনিয়া তার পরিবারের সাথে বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরী কোতোয়ালা থানাধীন গোয়াল পাড়াতে বসবাস করেন।
প্রতিবেদনটি দেখার পর দরদ জাগবে সবার মনে, এগিয়ে আসবেন সবাই। পাশে দাড়াবেন ছোট্ট সনিয়ার আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট