চট্টগ্রাম ফুসফুসখ্যাত সিআরবি অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক এক বৈচিত্র্যময় পরিবেশগত বলয় গড়ে উঠেছে এই সিআরবিকে ঘিরে। একদিকে বছরের পর বছর ধরে এখানে বেড়ে উঠেছে শতবর্ষী অসংখ্য বৃক্ষ ও বৈচিত্র্যময় নানা প্রজাতির উদ্ভিব। অন্য দিকে প্রতি বর্ষবরণ সহ নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসব গুলো কেন্দ্র স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই সিআরবি। সিআরবি আমাদের নির্মল শ্বাস নেওয়ার শেষ আশ্রয় স্থল। প্রতিদিন অসংখ্য নানান শ্রেণীর মানুষ এই সিআরবিতে হাটতে আসে। তাদের অবসর কাঠায়, কিশোর তরুণরা সিআরবির এই খোলা জায়গা গুলোতে বিকেলবেলায় খেলাধূলা করে। অথচ এ-ই এলাকায় রেল কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড গ্রুপের সাথে পিপিপির অধীনে ৫০০ শসার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১০০ শয্যার একটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহলের মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে রাস্তায় নামছে তাদের মতামত জানান দিচ্ছে। আমরা চট্টগ্রামবাসী কেন হাসপাতাল চাইনা? সিআরবি কে কেন্দ্র করে যে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার যেই ব্যয়, তা বহনের শর্ত আমাদের নগর সাধারণ মানুষের নেই, এ-ই টা মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে ফলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য খুব বেশি সুযোগ ও প্রাপ্তি এখানে নেই। আমরা চট্টগ্রাম হাসপাতাল হোক এর বিরুদ্ধে না। হাসপাতাল নির্মাণ হোক চাই। চট্টগ্রামে অনেক জায়গায় আছে সেখানে হাসপাতাল হোক। কিন্তু অন্ধকারে অপশক্তি গ্রাস করে নিতে চাইছে চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত নষ্ট করে সিআরবি হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। হাসপাতাল নয়, রক্ষা হোক প্রাক প্রকৃতি।
সিআরবি বাঁচাও
প্রাণের সবুজ কাছে থাক
হাসপাতাল দূরে যাক।
চট্টগ্রামবাসীর জয় হোক
সিআরবি রক্ষার আন্দোলন সফল হোক
লেখকঃ সমাজকর্মী
Leave a Reply