ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম মহানগরঃ
চট্টগ্রামের দক্ষিণের ঐতিহ্যবাহী উপজেলা চন্দনাইশ,২০০২ সালের ২৫ শে আগষ্ট গঠিত চন্দনাইশ পৌরসভা,০৩ অক্টোবর ২০০৫ সালে ক শ্রেনীতে উন্নীত হয়।
১৭.০৮ বর্গ কি:মি: আয়তনের এই পৌরসভা ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত প্রায় ৬৮৫৭০ জনের বসতী।
২২ নভেম্বর ২০২০ সালে পৌর এলাকা বাসির সুপেয় পানির ব্যবস্থা কল্পে দক্ষিণ হারালা ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের আংশিক সাতবাড়িয়া (যতের মুখ, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রহমানী ঘাটা) এলাকায় বিশ্ব ব্যাংক ও এ আই বির অর্থায়নে পৌর পানি শোধনাগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম চন্দনাইশ১৪ সংসদীয় আসনের(চন্দনাইশ-আংশিক সাতকানিয়া) সাংসদ, শ্রম, কর্মসংস্থান, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহবুবুল আলম খোকা।
দীর্ঘ এক বছর পার হয়ে গেলেও কাজের অগ্রগতি হয়নি, পৌর পানি শোধনাগারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়ু মতি খালের প্রবাহ স্হলের পাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণ জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে পড়ে শত শত কৃষকের আবাদি জমি। এই সব জমিতে বুরো, আমন ধানের বীজ তলা,ধান চাষের পাশাপাশি মৌসুমী শাকসবজি উৎপন্ন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এলাকার কৃষিনির্ভর মানুষ। পৌর পানি শোধনাগার প্রকল্প চালু করার আগে উক্ত স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় বর্ষায় প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করার ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে এলাকার শতাধিক পরিবার।
স্থানীয় কৃষক মুবিন, আমিনুল ইসলাম, জসিম নজরুল সওদাগর ও মোনাফের সাথে কথা বলে জানা যায়।
স্থানীয় মোঃ সিরাজুল ইসলাম পিতা-মৃত ছৈয়দুল হক উম্মুক্ত বেরি বাঁধের পাশের নিজ জমি থেকে গন গন মাটি বিক্রি করার ফলে গর্তের সৃষ্টি হয়। উন্মুক্ত বেরি বাঁধটি হয়ে পরে আরো ঝুঁকিপূর্ণ।
ফলে সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়ে পরে কৃষকের আবাদি জমি বীজতলা ও পানি বন্দি হয়ে পরে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান মৌসুমের আমন চাষ এখনো শুরু করতে পারেনি চাষীরা। এলাকাবাসী জানান দক্ষিণ হারালা (পেতি হারলা,আংশিক সাতবাড়িয়া,যতর মুখ,নয়াহাট) হয়ে পৌর ও উপজেলা সদরে হাজারো জনসাধারণের যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা,বরুমতি,যতের মুখ বেরি বাঁধটি নির্মানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সাংসদ, পৌর মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পৌর পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শুরুর পাশাপাশি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে একাধিকে কৃষকের আবাদি জমি রক্ষা পাবে, হাজারো মানুষের সদর এলাকার সাথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা সহ পানিবন্দিত্বতা হতে মুক্তি পাবে ৫নং ওয়ার্ডের শতাধিক পরিবার।
Leave a Reply