1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটিয়াতে কবি মিনার মনসুরকে নিয়ে প্রত্যয়ের বিশেষ আয়োজন ‘মিনার মনসুর সকাল রোদ্দুর’ এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন পল্লবী থানা শাখা কমিটি অনুমোদিত। গরমে স্বস্তি দিতে ফ্রি বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বাকলিয়ায় ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড ডেন্টাল কেয়ারের যাত্রা তৃতীয় ধাপে পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫ শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা মহানগর পর্যায়ে ০৫ টি ইভেন্টে সাফল্য “শ্রমিকদের দাবী” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব) নেত্রজল সাহিত্য ম্যাগাজিন পত্রিকার নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ ও অব্যক্ত কিছু কথাঃ লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • সময় রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩১২ পঠিত

ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস ২৯ নভেম্বর। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর দিবসটি উদযাপনের আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনের নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগণের জন্য বাংলাদেশের সহমর্মিতা সবসময়ই অটুট রয়েছে। ‘ফিলিস্তিন’ (প্যালেস্টাইন) ভূখণ্ডটি আগে ছিল একটি রাষ্ট্র। সে সময় এর লোক সংখ্যা ছিল ১০ লাখের মত। মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের দু’ভাগ ছিল আরব জাতিগোষ্ঠীর, একভাগ ছিল ইহুদি। তখনকার লীগ অব নেশন্স-এর ম্যান্ডেট অনুসারে ব্রিটিশরা এ ভূখণ্ডটি শাসন করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা ইহুদিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠনের গোপন অঙ্গীকারে আবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জেরুজালেম শহরকে আন্তর্জাতিক শহরের মর্যাদা দিয়ে ‘ফিলিস্তিন’ ভূখণ্ডকে আরব ও ইহুদি অধ্যুষিত দু’টি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্রিটিশ ও মার্কিন সমর্থনের কারণে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ‘ইসরাইল’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের নানা প্রান্তের ইহুদিরা নতুন রাষ্ট্রে আবাসন গড়ে তোলে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন তো দূরের কথা, তারা নিজ আদি নিবাস থেকে বিতাড়িত হতে থাকে। তখন থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আরব ইহুদি দ্বন্দ্বের সূত্রপাত, বর্তমানে তা গুরুতর বিশ্ব সংকটে রূপ নিয়েছে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ নভেম্বরকে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রদর্শনস্বরূপ ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস’ হিসেবে গ্রহণ করে। এর দশ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১২ সালে প্রথমবারের মত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়া হয়। ইসরাইলসহ পাশ্চাত্য শক্তির নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ লাভের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। ইতিমধ্যে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশে ফিলিস্তিন পতাকা স্থান পেয়েছে। একই সময়ে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে ভ্যটিকান সিটির পতাকাও জাতিসংঘে উত্তোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সাধারণত জাতিসংঘ দপ্তরে পূর্ণ সদস্য অর্থাৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলনেরই রেওয়াজ রয়েছে। সেদিক থেকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি বড় অগ্রগতি। সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রস্তাব পাস হবার সময় ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আটটি দেশ বিরোধিতা করেছিল। আরও ৪৫টি দেশ ইসরায়েলের অনুকূলে প্রস্তাব পাসের সময় অনুপস্থিত ছিল। এত বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরাইল ও ফিলিস্তিন- আলাদা দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও পাশ্চাত্য শক্তির ষড়যন্ত্র আর নিজেদের মধ্যকার দুর্বলতার কারণে এতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হতে পারে নি। ১৯৯৬ সালে পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য নামমাত্র স্বায়ত্তশাসন কায়েম হয়েছে। নির্যাতিত লাঞ্ছিত জনগোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই সংহতি জানিয়ে আসছে, আজও জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে তাদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ১৯৪৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে দেশটির রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি এবং বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত জনগণের প্রতি সমর্থনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকেই একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন থাকবে। প্রতিনিয়িত মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন বন্ধে দখলদার শক্তির ওপর চাপ প্রয়োগের আহবান জানাচ্ছি। কেননা, এই অন্যায়ের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ, বিশেষত গাজার বাসিন্দারা কষ্ট পাচ্ছে। শুধু সংহতি প্রকাশ নয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা হোক তাদের প্রাপ্তি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট