ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খোলা ও ভেজাল তৈল ব্যারেল থেকে মোটর পাম্পের মাধ্যমে বোতলজাতকরণ পূর্বক বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন হালিশহর এলাকায় একটি টিনসেড ঘরের ভিতরে ভেজাল সয়াবিন তেল সংরক্ষণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ জুন, বৃহস্পতিবার ০৯ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ হুমায়ুন কবির (৪২), পিতা-মৃত মোঃ আবু তাহের, সাং-বড়দলি, থানা-দৌলতখান, জেলা-ভোলা’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও শনাক্ত মতে উক্ত ঘরের ভিতর থেকে অনুমোদনহীনভাবে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরীকৃত আনুমানিক ২৭০০ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল এবং ভেজাল সয়াবিন তৈল তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জামাধী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভেজাল সয়াবিন তেল এর আনুমানিক মূল্য ৬,২৫,০০০/- টাকা।
ঘটনাপৃষ্টে জানা যায়, এ.এস.এস কর্পোরেশন নামীয় এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা বাজার হতে নিম্ন মানের ভেজাল যুক্ত খোলা সয়াবিন তৈল সংগ্রহ করে তার বর্ণিত ফ্যাক্টরিতে ভেজাল উপাদান দিয়ে জব্দকৃত ভেজাল সয়াবিন তেল প্রক্রিয়াজাত করে রমনী ফর্টিফাইড সয়াবিন তৈল নামীয় প্লাস্টিকের কৌটায় করে বাজারজাত করছে যা ভোক্তভোগী সাধারন জনগন ভক্ষণ করলে নানা রকম রোগ ব্যাধীসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুকির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তাদের সুবিধাজনক জায়গায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করে উক্ত প্রতিষ্ঠানে রাতের বেলায় বিভিন্ন ভেজাল উপাদান দিয়ে ভেজাল সয়াবিন তৈল তৈরী করে তৈরীকৃত সয়াবিন তৈল সকাল বেলায় কৌটাজাত করতঃ বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত গোডাউনে সংরক্ষন করে থাকে। এছাড়াও সে দিনের বেলায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন কাজ করে না এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান চিহিৃত করার মত কোন ধরনের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ব্যানার ব্যবহার করেন না।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্লাস্টিকের বোতলে ঢেলে তা মেশিনের সাহায্যে মুখ বন্ধ করে উক্ত বোতলের গায়ে বিএসটিআই এর লাইসেন্স ব্যতীত বিএসটিআই লোগো যুক্ত ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল নামিয় লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে কার্টুণে করে গোডাউনে সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে তার নিজস্ব কর্মচারী দ্বারা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে বিপুল পরিমান অবৈধ মুনাফা আয় করে থাকে।
ধৃত আসামী মোঃ হুমায়ুন কবির’কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের বৈধ লাইসেন্স ব্যতিরেকে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার আশায় খোলা বাজার হতে ভেজাল মিশ্রিত সয়াবিন তেল সংগ্রহ করে উক্ত তৈল এএসএস কর্পোরেশন নামীয় প্রতিষ্ঠানে নামে প্লাস্টিকের কৌটায় করে বাজারজাত করে আসছে বলে অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply