করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে যখন দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি চলছে। বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক কর্মহীন অসহায় মানুষ। সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি এগিয়ে আসছেন অনেকেই। কেউ আর্থিক সাহায্য করছেন আবার কেউ চাল, ডাল, তেল, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। তবে কেউ জাকাতে কাপড়-চোপড় দিলেও ঈদে শপিং করে দিচ্ছেন না। তাই গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের জন্য সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য “ফ্রী ঈদ শপিং” নামক এক নুতন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
সোমবার ( ১০ মে ) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ে মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে কার্যক্রমটি উদ্ভোদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু।
‘ফ্রী ঈদ শপিং’ এর উদ্যোগের মাধ্যমে একজন গরীব বা অসহায় মানুষ নিজের ইচ্ছে, পছন্দ ও সাইজ অনুসারে ঈদের বস্ত্রের মধ্যে যেকোন একটা আইটেম বিনামূল্যে নিতে পারবেন।
উদ্ভোদনকালে দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, আজকে যেভাবে এরকম একটা উদ্যোগ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করছে তাতে তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তাদের এ কাজের সাথে সংযুক্ত হতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছে। আগামী ঈদেও যেন এমন উদ্যোগ শুধু তারা নয়, সকলে মিলে গ্রহন করে সেই প্রত্যশাই করি।
‘ফ্রি ঈদ শপিং’ এর উদ্যোক্তা ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে যাদের কাছে দুমুঠো আহার নেই, তাদের কাছে শপিং শব্দ টা হাস্যকর। আমরা চাই ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। সামান্য হলেও আনন্দ টা ভাগাভাগি হোউক।এবার যেন গরীবরা অন্তত এটা বলতে পারে ঈদের মার্কেটিং করছি তো! আর আমরা এখানে যা দিচ্ছি তা আমি নিজেই ব্যবহার করব। অর্থাৎ আমি যে পাঞ্জাবি কিনেছি একইরকমগুলোই এখানে দেয়া হচ্ছে। শ্রেণি বৈষম্য আর বিভেদ ভুলে সাম্যের এক পৃথিবী গড়ে উঠুক সেই প্রত্যয়ে।
মধ্যবিত্ত ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে এরকম আয়োজনের মাধ্যমে হাজারের অধিক মানুষকে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে উদ্যোগক্তাসূত্রে জানা যায়। তবে এক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের রাতে আঁধারে ঈদবস্ত্র দিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান মুহাম্মদ আবু আবিদ।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, এম এ মঞ্জুর, জসীম উদ্দিনসহ প্রমুখ।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিলসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দরা এসময় উপস্থিত ছিলেন
Leave a Reply