ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে বন্দি রাখার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। উপ মহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রশ্নে কৌশল করছে সরকার।
তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি শনিবার (১১ জুন) বিকালে ঢাকা পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কেন্দ্রীয় যুবদলের দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ডা. শাহাদাত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে। দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি আজ সবচেয়ে মজলুম নেত্রী। তাঁকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে রাজনীতি ও জনগণ থেকে দুরে রাখছে। গুরুতর অসুস্থ ও বয়স্কা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেল জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে সরকার।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাবেক এমপি, ঢাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারন সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হক, যুবদলের সি. সহ সভাপতি মামুন হাসান, সি. যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা প্রমুখ।
Leave a Reply