1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
উত্তরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ ছাত্রশিবিরের প্রবেশ নিষিদ্ধ একাদশে ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা বান্দরবান হোটেল হিলভিউ এর ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু চট্টগ্রামে ‘অপরাধ দমন’ প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুগ্ম সম্পাদক এমদাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা বাইশারীতে চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর মাঝে গাছের চারা বিতরণ করল কৃষি বিভাগ কাভার্ডভ্যানে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে গ্যাস আতঙ্কে পথচারী, উধাও চালক হেলপার সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও দুই মাস পায়ুপথে ২ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে বিজিবির হাতে বিএনপি নেতা আটক আমজনতার দল চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ফ্রি ফায়ার গেম’ নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন।

  • সময় শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৪৪ পঠিত

মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:

মোবাইল ফোনে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলা নিয়ে ঝগড়ার জেরে কিশোর আবদুল্লাহকে ঘুসি মারে তারই ১৫ বছর বয়সের অপর এক বন্ধু। ঘুসিটি শ্বাসনালীতে লাগে এবং আবদুল্লাহ ঢলে পড়ে যায়। তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সেই বন্ধু তার মা হাফিজা বেগমকে জানায়। মা-ছেলে মিলে আবদুল্লাহর লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়। যা গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার আয়েশার মার গলির দুই ভবনের মধ্যবর্তী স্থান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এই হত্যার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় হাফিজা বেগম (৩৫) ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (পশ্চিম ও বন্দর) উপ-কমিশনার আলী হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে আবদুল্লাহকে আরেক কিশোরের সঙ্গে বের হতে দেখা যায়। পরে ওই কিশোরকে শনাক্ত করা হয়। তাকে ও তার মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, আবদুল্লাহ ও ওই কিশোরের বাসা কাছাকাছি। তারা এক সময় সহপাঠী ছিল। গত বুধবার সকালে তাদের মা-বাবা কর্মস্থলে যাওয়ার পর আবদুল্লাহর বাসায় আসে ওই কিশোর। পরে একসঙ্গে ওই কিশোরের বাসায় যায় আবদুল্লাহ। সেখানে বসে তারা মোবাইলে গেম খেলছিল। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় ওই কিশোর ঘুসি মারলে আবদুল্লাহর কণ্ঠনালিতে লাগে। এতে সে ঢলে পড়ে যায়। কিশোর তার মাথায় পানি ঢালতে থাকে। তবুও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় কিশোর তার মাকে ফোন করে। মা কর্মস্থল থেকে এসে দেখে আবদুল্লাহ মারা গেছে। তখন তারা লাশ গুম করার পরিকল্পনা করে।

তিনি আরও বলেন, লাশ গুম করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওই কিশোর আবদুল্লাহর বাবাকে ব্যস্ত রাখতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে। হাফিজা বেগমকে শহর থেকে এবং তার ছেলেকে আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আবদুল্লাহর মা-বাবা চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নানাবাড়িতে থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়ত আবদুল্লাহ। গত ২৬ নভেম্বর ছুটিতে মা-বাবার কাছে এসেছিল সে। শিশুটিকে না পেয়ে তার বাবা বুধবার রাত ১০টার দিকে সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। আবদুল্লাহর বাবার অভিযোগ পেয়েই রাতে অভিযানে নামে ইপিজেড থানা পুলিশ। যে নম্বর থেকে টাকা চেয়ে ফোন করা হয়েছিল, সেটি পরে বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার আয়েশার মার গলির হামিদ আলী টেন্ডল রোডের মিনারা ম্যানসন ও আইয়ুব আলীর ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে আবদুল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করে।

সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে আহাজারি করতে করতে শিশুটির মা শাহেদা বেগম বলেন, বুধবার সকালে আমরা কারখানায় চলে যাই। সন্ধ্যায় আমার স্বামীর ফোনে কল দিয়ে একজন বলে আবদুল্লাহকে অপহরণ করেছে। এরপর মোবাইল বন্ধ করে দেয়। ১ ঘণ্টা পর ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। আমরা বলেছিলাম, আমরা গার্মেন্টসে কাজ করি, এত টাকা কোথা থেকে দিব। ফোনের ওপাশ থেকে বলে, বস বলছে ১ টাকাও কম হবে না। এরপর আমার স্বামী পুলিশের কাছে যান।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট