মোহাম্মদ জুবাইরঃ
মানুষের পরিচয় তার হৃদয়ের বিশালতায়, মস্তিষ্কের উর্বরতায়। মানুষ মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাক , কোন ধর্ম বর্ম কিংবা লিঙ্গের ভিত্তিতে যেন কেউ পরিচিত না পায়। বাংলাদেশকে তাই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে অবশ্যই সবাইকে একসাথে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, সাম্প্রদায়িকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে, তাহলেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একদিন সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
“ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনে প্রানে এ কথাটি বিশ্বাস করেন, একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সব মা বোন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বলেই আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পেরেছিলাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সংবিধানে রচনা করা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হল এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যে যার ধর্ম স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে পালন করবে।
শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে বন্দর নগরীর ৮ নং আসনের কয়েকটি পূজা মন্ডপ ঘুরে সকলের উদ্দেশ্য শুভেচ্ছা বক্তব্যের সময় অত্র আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন আরো বলেন, যারা ধর্মের নামে মসজিদ,মন্দির গীর্জায় সাম্প্রদায়িক হামলা করে তারা সমাজের শত্রু,দেশের শত্রু, ধর্মের শত্রু। যারা এই ধরণের হামলা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে তাদের জায়গা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশে হবে না।বিএনপি-জামাত চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বারবার সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে হিন্দুদের বাড়ী ঘরে,মন্দিরে ভাংচুর চালিয়েছে।তাদের প্রতি সাবধান করে বলতে চাই যদি কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয় তবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের সাথে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
এসময় আসন্ন দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করার মাধ্যমে প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পাশাপাশি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে পাহারাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply